‘বেলাশেষে’ সিনেমার দুই পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, সিনেমার ঐ দুটি চরিত্র লেখা হয়েছিল বর্ষীয়ান শিল্পী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের কথা ভেবেই।
শিবপ্রসাদ বলেন, “আমরা সৌমিত্রদা, স্বাতীলেখাদির কথা মাথায় রেখেই স্ক্রিপ্টটা লিখেছিলাম। ‘অলীক সুখ’ সিনেমার কাজ করার পর আমাদের মাথায় ছিল যে সৌমিত্রদাকে নিয়ে আবার কোনও কাজ করা। ‘বেলাশেষে কোলাহল’ নাটকে আরতির চরিত্রটা করতেন স্বাতীদি নিজেই। স্বাভাবিক ভাবেই ওঁকে ছবিটাতে নেওয়া হয়েছে।”
নন্দিতা বলেন, “আমরা একটা নাটক দেখেছিলাম ‘বেলাশেষে কোলাহল’ নামে। সেই নাটকের কনসেপ্টটা খুব ভাল লেগেছিল আমার। থিমটা তুলে নিয়ে একদম অন্য গল্প তৈরি করলাম। তৈরি হল ‘বেলাশেষে’।”
সিনেমার গল্প এগিয়েছে এক দম্পতির ৪৯ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টানা নিয়ে।
পরিবারের এক আনন্দঘন মূহূর্তে বিশ্বনাথ মজুমদার (সৌমিত্র) ঘোষণা করেন, তার স্ত্রী আরতির (স্বাতীলেখা) সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টানতে আইনি প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করেছেন তিনি। ঝড় ওঠে সংসারে। পূজার আনন্দ ভুলে করণীয় ঠিক করতে পারিবারিক বৈঠকে বসেন সন্তানেরা।
আদালতের আদেশে ১৫ দিন একসঙ্গে থাকতে হবে বিশ্বনাথ ও আরতিকে। এই সময়কালকে ব্যবচ্ছেদ করে ‘বেলাশেষে’ সিনেমাটি।
সিনেমাটিতে বিশ্বনাথ ও আরতির সংসারে ছেলে-বৌমা, মেয়ে-জামাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শঙ্কর চক্রবর্তী, ইন্দ্রাণী দত্ত, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অপরাজিতা আঢ্য, খরাজ মুখোপাধ্যায়, অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, মনামি ঘোষ প্রমুখ।
সিনেমাটির জন্য গান বানিয়েছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও অনুপম রায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস অবলম্বনে অস্কারজয়ী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় ‘ঘরে-বাইরে’ মুক্তি দেন ১৯৮৪ সালে। সিনেমাটি একই বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাম দ’র পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করে। সিনেমাটিতেই প্রথম একসঙ্গে অভিনয় করেন সৌমিত্র ও স্বাতীলেখা।