এই মামলার প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন রবীন্দ্র পাতিল নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেছিলেন, সেদিন রাতে চালকের আসনে সালমানকেই দেখা গেছে আর তিনি মাতাল অবস্থায় ছিলেস। কিন্তু ২০০৭ সালে যক্ষা আক্রান্ত হয়ে মারা যান রবীন্দ্র। ফলে মামলার গতি অনেকটাই শ্লথ হয়ে পড়ে।
এছাড়াও সালমানের চাচাতো ভাই শিল্পী কামাল খান দুর্ঘটনার সময় তার সঙ্গে থাকা সত্ত্বেও তাকে আদালতে ডাকা হয়নি প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে।
তবে সবচেয়ে বেশি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন সালমানের গাড়ির চালক অশোক সিং, যিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অকপটে স্বীকার করেন, দুর্ঘটনার জন্য তিনি একাই দায়ী।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অশোক বলেন, সেদিন চালকের সিটে সালমান ছিলেন না। বরং তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। অশোক আরও বলেন, গাড়ির চাকা ফেটে যাওয়ার পেছনে দ্রুত গতি দায়ী ছিল না বরং দুর্ঘটনাই ছিল কারণ।
১৩ বছর ধরে চলতে থাকা এই মামলার আলোচনায় খুব কমই এসেছে সেই পাঁচটি পরিবারের কথা যারা ঐ দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় যে ফুটপাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উঠে গিয়েছিল সালমানের গাড়ি সেখানে ঘুমিয়ে ছিলেন পাঁচ ব্যক্তি। তাদের মধ্যে একজন মারা যান আর চার জন আহত হন। সিএনএআইবিএনলাইভ বলছে, নিহত ব্যক্তি নুরুল্লাহ শরিফের সহ বাকিদের মোট ১৯ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ ভাগ করে নিতে বলা হয়।
চলতি বছরের ৬ মে অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন সালমান খান। তাকে মুম্বাইয়ের আরথার রোড কারাগারে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
তবে ভারতীয় আইন অনুযায়ী, তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন মুম্বাই হাই কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও যেতে পারেন সালমান। কাজেই সালমানের জন্য সুযোগ এখনও ফুরিয়ে যায়নি।