‘ব্যভিচারের প্রচার চালাইনি’

নারীদের নিয়ে সামাজিক সচেতনতামূলক #ভোগএম্পাওয়ার সিরিজের আওতায় মুক্তি পাওয়া ‘মাই চয়েস ভিডিও নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী দিপিকা পাড়ুকোণ। ভিডিওটিতে ব্যভিচার প্রচার করেননি দাবী করে তিনি বলেন, এর বেশ কিছু বক্তব্যের সঙ্গে তিনি একমত ছিলেন না।  

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2015, 10:34 AM
Updated : 5 May 2015, 10:34 AM

প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে তিনি বলেন, “ভিডিওটির মিশ্র প্রতিক্রিয়া নিয়ে আমি চিন্তিত হইনি। তবে আমি কিছুটা হতাশ হয়েছি এটা জেনে যে, এর থেকে কিছু বাক্য আলাদা করে নিয়ে অনেক বড় করে দেখানো হয়েছে এবং আমরা সবাই চলচ্চিত্রটির আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পারিনি। এবং এই প্রক্রিয়ায় আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে ব্যভিচারের প্রচার চালানোর অভিযোগে। সত্যি বলতে কি, এটা আমার কাছে নির্বুদ্ধিতা মনে হযেছে।”

ভিডিওটির এক অংশে দিপিকাকে বলতে শোনা যায় “আমার সিদ্ধান্ত, আমি বিয়ে করবো কি করবো না। বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কে জড়াবো নাকি বিয়ের পরে, নাকি বিয়ের বাইরে গিয়ে জড়াবো। নাকি জড়াবো না। এটা আমার সিদ্ধান্ত।”

অনেকেই ভিডিওর এই অংশের সমালোচনা করে বলেছেন, এতে করে ব্যভিচারের প্রচার ঘটানো হচ্ছে। অনেকে বলেছেন ভিডিওটিতে লিঙ্গবৈষম্য এবং শ্রেণিবৈষম্য করা হয়েছে।

দিপিকা এ বিষয়ে বলেন, “আমি কখনোই ব্যভিচারের প্রচার চালাইনি। আমি জানি, আমার নিজের কাছে বিয়ের গুরুত্ব কতখানি। এটি একটি ঐশ্বরিক এবং পবিত্র একটি বন্ধন। আমি এমন একজন, যে সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কের বিশ্বস্ততা এবং সৎ থাকায় বিশ্বাস করি। বিয়ে এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যার প্রতি আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি কারও বিপক্ষে কিছু বলছি না। যে কারোরই বিয়ে নিয়ে ভিন্নমত থাকতেই পারে।”

“আমি কেবল হতাশ বোধ করেছি যে, মানুষ বলছে আমি এরকম কিছু একটার প্রচার চালিয়েছি, যেটা আমি আসলে বিশ্বাস করি না। আমি এখন পরিস্কারভাবে বলতে পারি যে, আমি ব্যভিচারের পক্ষে কথা বলিনি। আমি এটা আগে কখনও করিনি, কখনও করবো না।”

দিপিকা আরও জানান, চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত একাধিক বক্তব্যের সঙ্গে তিনি একমত ছিলেন না। কিন্তু নারীর ক্ষমতায়নের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে সেগুলো নিয়ে তিনি আপত্তি তোলেননি।

“যখন আমাকে চিত্রনাট্যটি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে একটি নয়, এক জোড়া বাক্যের ব্যাপারে আমি সম্মতি দিইনি। কিন্তু আমার মনে হয়েছে চলচ্চিত্রটির বৃহত্তর স্বার্থে আমাকে তাদের প্রয়োজন। আমি এগিয়ে গিয়েছি এবং আমি যারপরনাই খুশি ছিলাম এই বৃহত্তর স্বার্থের অংশ হতে পেরে, যেটা নিয়ে আমরা সবাই কাজ করছি। ফিল্মের বাকি ৯৮ জন নারীর মতোই আমিও খুশি মনে এর অংশ হয়েছি।”