যখন শাহরুখ সাজলেন জার্মান রাষ্টদূত (ভিডিওসহ)

ভারত ছাড়িয়ে হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয়তা যে এখন বিশ্বব্যাপী তার একটি জ্বলজ্যান্ত প্রমাণের সাক্ষী হল নয়াদিল্লি। এখানেই শুক্রবার ভারতের জার্মান দূতাবাসে উদ্বোধন করা হল শাহরুখ খান, সাইফ আলি খান এবং প্রিতি জিনটা অভিনীত ‘কাল হো না হো’ সিনেমার টাইটেল ট্র্যাকের জার্মান সংস্করণ ‘লেবে জেটজ’। এই রিমেইকে হিন্দি সিনেমার তারকাদের জায়গায় দেখা গেছে জার্মান রাষ্ট্রদূত মাইকেল স্টেইনার, তার স্ত্রী এলিয়েস এবং ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদকে।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2015, 12:24 PM
Updated : 25 April 2015, 12:24 PM

'কাল হো না হো'র অভিনেতা সাইফ আলি খান, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর এবং গীতিকার ও কবি জাভেদ আখতার উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। ‘কাল হো না হো’ গানটির রিমেইকে সাইফের চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন সালমান খুরশিদ। ওদিকে শাহরুখ খানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মাইকেল স্টেইনার। আর প্রিতি জিনটার জুতোয় পা গলিয়েছেন তার স্ত্রী এলিয়েস। এর মধ্যেই অনলাইনে ভাইরাল হয়ে গেছে ভিডিওটি।

শাহরুখ খান নিজেও দারুণ উচ্ছ্বসিত ভিডিওটি নিয়ে। টুইটারে ভিডিওটির লিঙ্ক শেয়ার করেছেন তিনি। কারান জোহারকে ট্যাগও করেছেন তাতে। লিখেছেন, “কারান, তোমাকে এটা দেখতেই হবে। তারা এর মধ্যেই এটা বানিয়ে ফেলেছে। দারুণ কাজ!”

এদিকে হিন্দি সিনেমা দারুণ উপভোগ করলেও অভিনয় করাটা মোটেও সহজ ছিল না বলে জানালেন রাষ্ট্রদূত স্টোইনার। তিনি বলেন, “তিনটি প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে। প্রথমটি অভিনয়। আমি এর আগে অভিনয় করেছি পঞ্চাশ বছর আগে, স্কুলে থাকতে। দ্বিতীয়ত, আমি হিন্দি জানি না। আর তাই ঠোঁট মেলানোটা অনেক কঠিন ছিল আমার জন্য। তৃতীয়ত, আমরা জার্মানরা কিন্তু রসবোধের জন্য খুব একটা পরিচিত নই।”

তবে সাড়ে তিন মিনিটের এই ভিডিওতে অভিনয় শাহরুখ খানের প্রতি স্টেইনারের শ্রদ্ধা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

“এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। এই অভিনেতারা একেক জন গুরু এবং আমাকে তাদেরকেই অনুকরণ করতে হচ্ছিল। আমি অনুধাবন করেছি, শাহরুখ খানের অনুকরণ করাটা একেবারেই সম্ভব নয়। সে এতটাই নিখুঁত অভিনেতা। বলিউড এবং এই অভিনেতাদের প্রতি আমরা আমাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে চেয়েছিলাম। তারা সবাই জার্মানিতে অনেক জনপ্রিয়।”

স্টেইনার নিজের হিন্দি সিনেমাপ্রীতি তুলে ধরতে আরও বলেন, “আমি এবং আমার স্ত্রী বলিউড আসক্ত। আমার স্ত্রী দেড়শরও বেশি হিন্দি সিনেমা দেখেছি। আমিও তার সঙ্গে সিনেমাগুলো দেখেছি।”

শর্মিলা ঠাকুর বলেন নিজের ছেলের ভূমিকায় একজন রাজনীতিবিদকে দেখার অভিজ্ঞতাটা ছিল মজার। তিনি আরও বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক হিসেবে হিন্দি সিনেমা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে অনেকদিন ধরে। আগে হিন্দি সিনেমাকে তাচ্ছিল্য করা হতো। কিন্তু এখন সবাই বলিউডের সামর্থ্য সম্পর্কে জানে।”

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ জানান, সাইফের চরিত্রে অভিনয় করাটা বেশ কঠিন মনে হয়েছে তার কাছে। আর অনুষ্ঠানে উপস্থিত জাভেদ আখতার ঠাট্টাচ্ছলে বলেন, তার সবসময়ই মনে হতো রাজনীতিবিদেরা ভাল অভিনয় পারেন। আজ তার চাক্ষুস প্রমাণ পেলেন।