জ্যাক নিকলসনের অজানা দশ

তাকে বলা হয় হলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা। তিন বার অস্কারজয়ী জ্যাক নিকলসন ১২টি মনোনয়ন নিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি অস্কার মনোনয়ন অর্জনকারী অভিনেতা। ‘ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কাক্কুজ নেস্ট’, ‘দ্য শাইনিং’, ‘অ্যাজ গুড অ্যাজ ইট গেটস’-এর মতো সিনেমার এই অভিনেতা ২২ এপ্রিল পা দিলেন ৭৮ বছর বয়সে।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2015, 12:45 PM
Updated : 22 April 2015, 12:45 PM

জন্মদিন উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক নিকলসন সম্পর্কে অজানা দশ তথ্য।

১. জ্যাক নিকলসনের জন্ম হয় ১৯৩৭ সালে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানে। তার মা জুন ফ্রান্সিস সে সময় ছিলেন অবিবাহিত। জ্যাকের সত্যিকারের বাবার পরিচয় কখনও মেলেনি। আর তাই, জ্যাকের নানা-নানি মেয়েকে বদনাম থেকে রক্ষা করতে তাকে নিজেদের সন্তান হিসেবে পরিচয় দেন। জ্যাক নিকলসন তাই অনেকদিন পর্যন্ত নিজের মাকে মনে করতেন তার বড় বোন আর নানা-নানিকে তার বাবা-মা। ১৯৭৪ সালে টাইম ম্যাগাজিনের এক সাংবাদিক তার জীবন নিয়ে অনুসন্ধান চালালে প্রথমবারের মতো বেরিয়ে আসে এই সত্য। জ্যাক নিজেও প্রথমবারের মতো জানতে পারেন এসব কথা।

২. কিশোর বয়সে এমজিএম-এর কার্টুন বিভাগের বার্তাবাহকের কাজ করতেন তিনি।

৩. জ্যাক নিকলসনের অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৫৮ সালে ‘দ্য ক্রাই বেবি কিলার’ সিনেমার মাধ্যমে। সত্তরের দশকের আগে অনেকটাই অখ্যাত চিলেন তিনি। বিজ্ঞাপনে ছোটখাট চরিত্রে অভিনয় করেই পেট চালিয়েছেন। মাঝেমধ্যে চিত্রনাট্য লেখার কাজ করেছেন। ১৯৬৯ সালের সিনেমা ‘ইজি রাইডার’ দিয়ে প্রথমবারের মতো পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন তিনি। এই সিনেমার সুবাদেই জীবনের প্রথম অস্কার মনোনয়ন অর্জন করেন জ্যাক।

৪. ১৯৭২ সালেই নিকলসনের ক্যারিয়ারে এসেছিল সুবর্ণ সুযোগ। ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার কালজয়ী সিনেমা ‘দ্য গডফাদার’-এ অ্যাল পাচিনো অভিনীত মাইকেল কর্লিয়নির চরিত্রটির জন্য প্রথমে ভাবা হয়েছিল তারই কথা। জ্যাক নিকলসন তা প্রত্যাখান করেন। শুধু তাই নয়, পরের বছর তিনি ফিরিয়ে দেন আরেকটি বিখ্যাত সিনেমা ‘দ্য এক্সরসিস্ট’-এর ফাদার কারাসের ভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তাব। এছাড়াও ১৯৯১ সালে তিনি ফিরিয়ে দেন ‘দ্য সাইলেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস’-এর কুখ্যাত মানুষখেকো সিরিয়াল কিলার হ্যানিবল লেক্টারের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব। এই চরিত্রে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার অস্কার জয় করেছিলেন স্যার অ্যান্থনি হপকিন্স।

৫. টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ব্যাপারে অরুচি আছে জ্যাক নিকলসনের। সংবাদ সম্মেলন আর বড় কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সময়টা ছাড়া টিভি প্রতিবেদকদের এড়িয়ে চলেন তিনি। ১৯৭১ সালের পর থেকে অংশ নেননি কোনো টক শোতেও।

৬. নিজের অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে তার পছন্দের চরিত্রগুলি হল ‘ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কুক্কুজ নেস্ট’-এর র‌্যান্ডাল ম্যাকমার্ফি, ১৯৮৯ সালের ‘ব্যাটম্যান’-এর জোকার এবং ১৯৯৭ সালের ‘অ্যাজ গুড অ্যাজ ইট গেটস’-এর মেলভিন ইউডাল।      

৭. ব্যক্তিগত জীবনে বরাবরই অভিনেত্রী এবং সুপামডেলদের সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়েছেন জ্যাক। ১৯৬২ সালে তিনি বিয়ে করেন অভিনেত্রী স্যান্ড্রা নাইটকে। ছয় বছর পরই অবশ্য বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। এরপর অভিনেত্রী সুজান অ্যান্সপ্যাশের সঙ্গে অল্প সময়ের প্রেমে জড়িয়েছিলেন তিনি। অস্কারজয়ী অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিকা হিউস্টনের সঙ্গে ১৬ বছর একই ছাদের নিচে কাটিয়েছেন তিনি। তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় ১৯৮১ সালে ড্যানিশ সুপারমডেল উইনি হলম্যানের সঙ্গে জ্যাকের প্রণয়ে জড়াবার পর। আশির দশকের শেষে তিনি সম্পর্কে জড়ান অভিনেত্রী রেবেকা ব্রুশার্ডের সঙ্গে। অ্যাঞ্জেলিকা হিউস্টন ছাড়া বাকিদের সঙ্গে পাঁচ সন্তান রয়েছে জ্যাকের। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে কেইট মস, শ্যারন স্টোন, ড্রিউ ব্যারিমোরের সঙ্গেও তার প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেছে।

৮. পেশাদার রেসলিং দারুণ উপভোগ করেন জ্যাক। তার পছন্দের মল্লযোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছে হার্লি রেইস, রিক ফ্লেয়ার এবং জন সিনা।

৯. ‘ব্যাটম্যান’-এ জোকারের চরিত্রে অভিনয়ের আগে জ্যাক নিকলসনের কাছে প্রস্তাব এসেছিল সুপারম্যানের চিরশত্রু লেক্স লুথারের ভূমিকায় অভিনয়ের।

১০. এই ডিজিটাল যুগেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না জ্যাক নিকলসন।