ব্র্যাঞ্জেলিনার ঘরে নতুন অতিথি?

মার্কিন তারকা দম্পতি অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এবং ব্র্যাড পিট আরও একবার সন্তান দত্তক নেওয়ার কথা ভাবছেন বলে শোনা যাচ্ছে। নিজেদের সপ্তম সন্তান হিসেবে সিরীয় এক কন্যাশিশুকে দত্তক নিতে চাইছেন তারা।

গ্লিটজ ডেস্কআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2015, 09:23 AM
Updated : 21 April 2015, 09:23 AM

ব্র্যাঞ্জেলিনার সংসারে বর্তমানে ছয় সন্তান রয়েছে। এদের মধ্যে কম্বোডীয় বংশোদ্ভূত ম্যাডক্স, ভিয়েতনামী প্যাক্স, ইথিয়পীয় জাহারাকে দত্তক নিয়েছেন তারা। এছাড়াও রয়েছে পিটের ঔরসে জোলির গর্ভজাত আরও তিন সন্তান শিলোহ, নক্স এবং ভিভিয়েন।

ব্যাঞ্জেলিনার ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়িক অংশীদার এ ব্যপারে বলেন, “সিরিয়ার সংঘর্ষে অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুদের দেখে অনেকবার অ্যাঞ্জেলিনার চোখে জল এসেছে। এখন যেহেতু অ্যাঞ্জেলিনা তার শারিরীক সমস্যাগুলোর সমাধান করেছেন, তিনি এবং ব্র্যাড ভাবছেন, এটাই সেরা সময় সেখান থেকে একটি অনাথ শিশুকে দত্তক নেওয়ার। এবার সম্ভবত একটি কন্যাশিশু।”

৩৯ বছর বয়সী এই অস্কারজয়ী অভিনেত্রী চলতি বছরের মার্চে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার জরায়ু এবং ফেলোপিয়ান টিউব অপসারণ করান। এর দুই বছর আগে তিনি নিজের দুই স্তনও অপসারণ করান। নিজের শরীরে স্তন এবং জরায়ুর ক্যান্সার হতে পারে এমন বৈশিষ্ট্যের জিন রয়েছে জানতে পেরেই এই অঙ্গ অপসারণের সিদ্ধান্তে আসেন জোলি।

২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে যুদ্ধবিক্ষুব্ধ দেশগুলোতে সফর করছেন জোলি। কমপক্ষে ছয়বার তিনি সিরিয়া ঘুরে এসেছেন। সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী সিরীয় গৃহযুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু হারিয়েছে তাদের বাবাকে। সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি শিশু হারিয়েছে বাবা-মা দুজনকেই। এছাড়াও আরও অনেক শিশু আছে যাদের বাবা-মা কারাগারে থাকায় কিংবা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানোর সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সন্তানদের কাছ থেকে।

২০১৩ সালের নভেম্বরে বিশ্বনেতাদের কাছে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো এসব শিশুদের উদ্ধারের আবেদন জানিয়ে একটি খোলা চিঠি লেখেন জোলি।

সিরীয় শিশু দত্তকে নেওয়ারর ব্যাপারে তাদের আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেন, “বিষয়টি তাদের দুজনের হৃদয়ের খুব কাছের। তারা এটি করতে চান এবং সম্ভব হলে গ্রীষ্ম শেষ হওয়ার আগেই। কারণ, তারা এমনিতে খুবই ব্যস্ত হলেও ২০১৫ সালে তাদের হাতে বেশ কিছু সময় আছে।”

তিনি আরও বলেন, “জুন মাসেই চল্লিশে পা দিতে যাওয়া অ্যাঞ্জেলিনা সুস্থ দেহে খুব ভালো বোধ করছেন এবং এখন এই আনন্দকে পূর্ণতা দিতে খাওয়ার টেবিলে একটি নতুন মুখ দেখতে চান তিনি।”