রুনার সংগীত জীবনের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কনসার্টের আয়োজন করে এন্টারেজ এন্টারটেইনমেন্ট। উপমহাদেশের কিংবদন্তী রুনাকে সম্মান জানাতেই ভারত থেকে এসেছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে এবং পাকিস্তান থেকে ফাওয়াদ খান।
অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিলো সন্ধ্যা ছ'টায়। তবে রুনার জন্য প্রতীক্ষার পালা একটু দীর্ঘ হলেও আপত্তি ছিলো না কারও।
হঠাৎ থামলো সব কোলাহল। মঞ্চের এক প্রান্ত থেকে ভেসে এলো ‘ভুলো না, আমাকে ভুলে যেও না’।
গানটি শেষে রুনার সঙ্গে মঞ্চে উঠলেন রুনার স্বামী অভিনেতা আলমগীর। এসেছিলেন সংগীতের আরেক কিংবদন্তী শিল্পী ফেরদৌসী রহমান। কেক কাটার ফাঁকে চললো স্মৃতিচারণা।
তারপর রুনা লায়লা একে একে পরিবেশন করলেন ‘পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম’ ও ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়ি গেলাম’ গান দুটি। গানটিতে রুনার সঙ্গে কন্ঠ মেলালেন রফিকুল আলম।
এরপর রুনা আরও গেয়েছেন ‘যে জন প্রেমের ভাব জানে না’, ‘দে দে পেয়ার দে’, ‘দাইয়া রে দাইয়া’, ‘ও মেরি বাবু ছেল ছাবিলা মে তু নাচুঙ্গি, ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেওনা’, ‘যখন থামবে কোলাহল’ গানগুলো।
কথা ছিলো দর্শকের পছন্দের গানও গাইবেন রুনা। ব্যতিক্রম হলো না তার। দর্শকের অনুরোধে রুনা গাইলেন ‘চঞ্চলা হাওয়া রে’, ‘খামোশিছে’ ‘দামা দাম মাস্ত কালান্দার’ গানগুলো।
গান গাইবার ফাঁকে রুনা শোনালেন সংগীত জীবনের পঞ্চাশ বছরের ইতিবৃত্তান্ত। পরিবার, প্রিয়জন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি রুনা। বড়বোন দিনা লায়লা - যিনি তাকে গান গাইতে অনুপ্রাণিত করেন, তাকেও স্মরণ করলেন সজল চোখে।
সবশেষে মঞ্চে এলেন কেকে। তিনি গাইলেন ‘ক্যায়া মুঝে পেয়ার হে’, ‘ও হামদাম’, ‘দিল ইবাদাত’, ‘আওয়ারাপান’, ‘ও মেরি জান’, ‘তুহি মেরা সাব হে’, ‘আভি আভি তো আয়ে হো’, ‘মে হু ডন’ গানগুলো। ঢাকার বন্ধুদের জন্য কেকে গাইলেন ‘ইয়ারো দোস্তি’ গানটি। আর ‘খুদা জানে’ গানটি পরিবেশনার মাধ্যমে রুনা লায়লার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করলেন।
এরপরে একে একে আরও গাইলেন ‘হ্যায় জুনুন’, ‘তারাপ তারাপ কে ইস দিল সে’, ‘পাল’, ‘তুনে মারি এন্ট্রিয়া’, ‘দেশি বয়েজ’, ‘কোয়ি কাহে কেহতা রাহে’ গানগুলো।
পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন নাভীদ মাহবুব এবং মারিয়া নূর।