একদিকে সাহসী বক্তব্যের জন্য যেমন এটি প্রশংসিত হচ্ছে, তেমনি অনেকে এর সমালোচনাও করছেন। সোনাক্শি সিনহা বলছেন, ‘মাই চয়েস’-এর বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন তিনি।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির এক পর্যায়ে দিপিকার মুখে শোনা যায়, “আমার সিদ্ধান্ত, আমি বিয়ে করবো কি করবো না। বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কে জড়াবো নাকি বিয়ের পরে, নাকি বিয়ের বাইরে গিয়ে জড়াবো। নাকি জড়াবো না। এটা আমার সিদ্ধান্ত।” এই বক্তব্যের সঙ্গেই মূলত দ্বিমত পোষণ করেছেন সোনাক্শি। তিনি বলেছেন, বিয়ের বাইরে যৌন সম্পর্কে জড়ানোর স্বাধীনতা নারীর ক্ষমতায়নকে তুলে ধরে না।
“নারীর ক্ষমতায়ন সবসময় আপনি কি ধরনেরর পোশাক পরবেন বা কার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়াবেন- সেটা নিয়ে নয়। এটা মূলত স্বনির্ভরতা এবংশক্তিকে কেন্দ্র করে হওয়া উচিৎ।”
সোনাক্শি আরও বলেন, “এটা খুবই ভাল উদ্যোগ। এটা একটা ভালো জায়গা থেকেও করা হয়েছে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, আমি বিশ্বাস করি ক্ষমতায়ন তাদের জন্যই হওয়া উচিৎ, যাদের এটির দরকার আছে। এটা তাদের জন্য, যারা আমাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। আমরা বেড়েই উঠেছি বিত্ত এবং বৈভবের মধ্য দিয়ে। ”
'ককটেইল' নির্মাতা হোমি আদাজানিয়া নির্মীত ‘মাই চয়েস’-এ মূলত তুলে ধরা হয়েছে সমাজ এবং পুরুষের চোখে নারীদের নিয়ে প্রচলিত কিছু ধারণাকে। নারীর শরীর, যৌনতা, পেশা এবং জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নারীরই - এমন বক্তব্যই তুলে ধরে এটি।