সংস্কৃতি নীতিমালায় পরিবর্তন আসছে না

২০০৬ সালে প্রণীত সংস্কৃতি নীতিমালায় সহসাই কোনো পরিবর্তন আসছে না বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2015, 08:37 AM
Updated : 1 April 2015, 08:37 AM

শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক প্রতিবেদকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বলেন, “সংস্কৃতি নীতিমালার পরিবর্তন সহসা হচ্ছে না।

প্রক্রিয়াটিও বেশ জটিল।এই নীতিমালার বেশকটি ধারায় পরিবর্তন আনতে গেলে দ্বিমত আসতে পারে। ব্যাপারটি বেশ সময়সাপেক্ষও বটে।

” এদিকে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমকে বেগবান করতে মন্ত্রী তার নানা পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। তিনি জানান, প্রাচীন বাংলার রাজধানী মহাস্থানগড়ের স্মৃতিসমৃদ্ধ শহর বগুড়াকে ‘সাংস্কৃতিক নগরী’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে।

একইসঙ্গে ঢাকায় জাতীয় ইতিহাস জাদুঘরও নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এছাড়া চট্টগ্রামে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্রজ সৈনিক প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, সুনামগঞ্জে মরমি কবি হাসন রাজা, কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি, কুমিল্লায় সংগীত কিংবদন্তী শচীনদেব বর্মণের স্মৃতির নিদর্শন নিয়ে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এছাড়া লন্ডন, নিউইয়র্ক ও কলকাতায় বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে মেলে ধরতে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন বলে জানালেন মন্ত্রী।  

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কার্যক্রমকে বেগবান করতে ও তাদের সংস্কৃতির নানা নিদর্শনকে সংরক্ষণ করতে মন্ত্রী দিনাজপুরে একটি আদিবাসি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণেরও ঘোষণা দিয়েছেন। 

রাজধানীর সাংস্কৃতিক কার্যক্রম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউজের মতো হাতিরঝিলে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার ‘পরিকল্পনা’ করছেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়েও চলছে পরিকল্পনা। 

শাহবাগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চ জনসাধারণের জন্য অবমুক্ত থাকছে না বলেও জানান তিনি। এ মুক্তমঞ্চ থেকে বখাটেদের উৎখাত করতে তিনি নিয়মিত সাংস্কৃতিক আয়োজনের প্রস্তাবও রাখেন। 

দেশব্যাপী জেলা শিল্পকলা একাডেমিগুলোতে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন, জেলা অফিসের সঙ্গে শিল্পকলা একাডেমির কার্যক্রমের সমন্বয় সাধনের বিষয়ে জানান মন্ত্রী।

 সংস্কৃতিকর্মীদের উন্নয়নের জন্য একটি শিল্পী কল্যান ট্রাস্ট নির্মাণের কথাও জানালেন মন্ত্রী।  এই ট্রাস্টের অর্থ থেকে প্রাপ্ত সুদ শিল্পীদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।