গ্লিটজকে বলেন, “ভাবনাটা যেহেতু ছবি আঁকা নিয়েই, তাই ভাবনার জায়গায় আর কোনো কিছুকে জায়গা দিচ্ছি না। আমি এখন এই কাজটাই করতে চাই, এর ফাঁকে হয়তো কিছু কাজ করবো।”
“একদমই সব ছেড়ে দেবো তা না, এতোদিন ধরে যে কাজ করেছি... শিল্পমাধ্যমগুলো একটার সঙ্গে অন্যটার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।”
নিজের চিত্রকর্ম সম্পর্কে বিপাশা বলেন, “ছবিটার নাম ‘মেমোরি’। আমার স্মৃতিকথার বয়ান, আমি যেভাবে যা দেখছি তারই উপস্থাপনা।”
ক্যানভাসে অ্যাক্রিলিকে আঁকা চিত্রকর্মটি অ্যাবস্ট্রাক্ট এক্সপ্রেশনিজমের ব্যকরণ মেনে আঁকা।
বিপাশা জানালেন, তার বর্তমান ব্যস্ততা ছবি আঁকা এবং প্রদশর্নী নিয়ে। ভিয়েতনাম, আমেরিকা ঘুরে সবশেষে দলীয় প্রদশর্নীতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন মিশর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই মিশর সরকারের আমন্ত্রণ ও আয়োজনে বাংলাদেশি নারী শিল্পীদের প্রদশর্নীতে অংশ নেন।
দলীয় প্রদর্শনীতে অংশ নিতে আরও কয়েকটি দেশে যাওয়ার পরিকল্পনাও চলছে বলে জানালেন।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনে আয়োজিত ‘যাত্রা’ শীর্ষক প্রদশর্নীতে আরও অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের কয়েক প্রজন্মের শিল্পী। এদের মধ্যে আছেন - আতিয়া ইসলাম অ্যানি, দিলারা বেগম জলি, নাইমা হক, তৈয়বা বেগম লিপি, ফেরদৌসি প্রিয়ভাষীনি, কনকচাপা চাকমা, মাকসুদা ইকবাল নিপা, ফারাহ জেবা, ফরিদা জামান, মিনি করিম, বিনিতা করিম, নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা।
শিল্পীদের কেউ দেশে, কেউবা বিদেশ থেকে কাজ করেন। কিন্তু তাদের কাজগুলোকে এক সুতায় গেঁথেছে এই প্রদশর্নী। ‘যাত্রা’য় প্রদর্শিত শিল্পকর্মের অধিকাংশই চিত্রকর্ম, রয়েছে তিনটি ভাস্কর্য। এছাড়া হাশেম খান ও রফিকুজ্জামান নবীর কাজও প্রদর্শিত হচ্ছে।