‘আমাকে চড় মারলে, আমিও চড় মারবো’

২৩শে মার্চ ২৯-এ পা দিলেন হিন্দি সিনেমার অভিনেত্রী কাঙ্গানা রানাওয়াত। ২০১৪ সালে ‘কুইন’ দিয়ে দর্শক ও সমালোচকদের হৃদয়ের রানীতে পরিণত হওয়া কাঙ্গানাকে - সত্যিকার অর্থেই পুরো পৃথিবীর সঙ্গে লড়তে হয়েছে নিজের স্বপ্নের পথে হাঁটতে গিয়ে।জন্মদিনে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী সম্পর্কে অজানা ১০টি তথ্য তুলে ধরা হলো। 

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2015, 11:02 AM
Updated : 23 March 2015, 11:02 AM

১. বিজ্ঞানের ছাত্রী কাঙ্গানা অভিনয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন মাত্র ১৫ বছর বয়সে। অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছার কথা বাসায় জানানোর পর বাবার হাতে চড় খেতে হয়েছিল তাকে। কাঙ্গানাও ঘুরে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, “আমাকে চড় মারলে, আমিও চড় মারবো।”

২. দৃঢ় প্রত্যয়ী কাঙ্গানা বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে মুম্বাইয়ে আসেন কপর্দকহীণ অবস্থায়। নিজের চেয়ে দশ বছরের বড় বন্ধু জাসপ্রিতের সঙ্গে থেকে শুরু করেন টিকে থাকার সংগ্রাম। এই সময়ে যোগ দেন অস্মিতা থিয়েটার গ্রুপে।

৩. কাঙ্গানার বাবা মেয়েকে পরে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। তাকে ৫০ হাজার রুপিও দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় বাবার এই সাহায্য ফিরিয়ে দেন কাঙ্গানা। এখন অবশ্য ঘটনটি নিয়ে ভীষণ অনুতপ্ত তিনি। কাঙ্গানার মতে, এই ঘটনাই তার আর তার বাবার সম্পর্কে সবচেয়ে বড় ফাটলটি ধরায়।

৪. হিন্দি সিনেমায় কাঙ্গানার অভিষেক ঘটেছিল ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমাটির মাধ্যমে। কিন্তু শাইনি আহুজা এবং এমরান হাশমির বিপরীতে এই সিনেমার জন্য নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন ‘হাজারো খোয়াইশে অ্যাইসি’ খ্যাত চিত্রাঙ্গদা সিং। পরে নির্মাতা অনুরাগ বসুর অনুরোধে এই সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি।

৫. ‘গ্যাংস্টার’-এ চুম্বন দৃশ্যে অভিনয়ের কারণে কাঙ্গানার দাদা তাকে ফোন করে তাদের পারিবারিক পদবী ফেলে দিতে বলেন। চুম্বন দৃশ্যে অভিনয়ের কারণে কাঙ্গানা নাকি তাদের পরিবারের দুর্নামের কারণ হচ্ছিলেন।

৬. ‘গ্যাংস্টার’-এর সাফল্যও কাঙ্গানার ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরাতে পারেনি। পরের দুই বছর কোনো কাজ পাননি তিনি। হতাশায় একসময় ঠিক করেছিলেন তল্পিতল্পা গুটিয়ে নিরুদ্দেশ যাত্রা করবেন।

৭. বোন রাঙ্গোলি এসিড সন্ত্রাসের শিকার হওয়ার পর যেভাবে পারেন বোনের দেখাশোনা করেন কাঙ্গানা। হাতে কাজ না থাকলে ফিতে কাটার অনুষ্ঠানে গিয়ে অর্থ উপার্জন করে বোনের চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি।

৮. মাধুর ভান্ডারকারের ‘ফ্যাশন’ সিনেমাটিকে ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করেন কাঙ্গানা। তবে শুরুতে এই চরিত্রে অভিনয় করতে চাননি তিনি। হাতে আর কোনো কাজ না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই হ্যাঁ বলেন নির্মাতাদের। তবে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর কোমর বেঁধেই নামেন এই চরিত্রটির জন্য প্রস্তুতি নিতে। কাঙ্গানার ভাষ্যে, “আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি চরিত্রটির জন্য। আমি রান্না করতে শিখি, মাদকাসক্তির দৃশ্যগুলোর জন্য পড়াশোনা শুরু করি। মাদকাসক্তদের উইথড্রয়াল সিম্পটম ভালোমতো বুঝতে শুরু করি। আমার ক্যাটওয়াক নিখুঁতভাবে তুলে আনতে অনুশীলন শুরু করি।”

‘ফ্যাশন’ সিনেমাটির জন্য পার্শ্ব-চরিত্রে সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন কাঙ্গানা।

৯. ক্যারিয়ারের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করলেও নিজে আসলে সিনেমার খুব বড় ভক্ত নন কাঙ্গানা। জীবনে নাকি মোটে দশটি সিনেমা দেখেছেন তিনি। টিভি দেখতেও একদমই পছন্দ করেন না তিনি। সময় পেলে বই পড়তে আর গান শুনতে ভালো লাগে তার।

১০. শিগগিরই হিন্দি সিনেমার কিংবদন্তী অভিনেত্রী মীনা কুমারির জীবনীভিত্তিক সিনেমায় মূল চরিত্রে দেখা যাবে কাঙ্গানাকে। তিগমাংশু ধুলিয়ার পরবর্তী এই সিনেমার গল্প নেওয়া হয়েছে ভিনোদ মেহতার বই ‘মীনা কুমারি: দ্য ক্লাসিক বায়োগ্রাফি’ থেকে।