তিনি গ্লিটজকে বলেন, “এখনও অনেক ধরনের ক্রাইসিস তৈরি হয়। যেমন, প্রয়োজন অনুযায়ী অভিনয়শিল্পীদের পাওয়া যায় না বা তৈরি করে নেওয়ার মতো উপায় থাকে না অনেক নাটকে।”
“প্রত্যেকে প্রত্যেকের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে।”
আরেকটু ব্যাখ্যা করলেন জয়ীতা, “যেহেতু মঞ্চের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক দিকটি দৃঢ় হয়নি এখনও। এটা করে কেউ খেতে পারে না।”
এর মধ্যেই নারী কর্মীরা কাজ করছেন। যার যার জায়গা থেকে অবস্থান তৈরির জন্য লড়াই করছেন।
“এই যুগে এই সমাজে যেখানে কিছুদিন আগে হেফাজত ইসলাম আন্দোলন করে গেল। সেখানে এসে থিয়েটার করতে চায়, তারা থিয়েটারের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও নিয়মিত হতে চায়। তারা এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সে জন্য তাদের আমি সম্মান দেই।”
জয়ীতার মঞ্চাভিনয় শুরু খালেদ খান নির্দেশিত কণ্ঠশীলনের ‘কারিগর’ নাটকের মাধ্যমে। এরপর পালাকার নাট্যদলের ‘নারীগণ’ ও ‘ওয়েটিং ফর গডো’ এবং প্রাচ্যনাটের হয়ে চারটি নাটকে অভিনয় করেছেন। বেশ কিছু নাটকের জন্য পোশাক পরিকল্পনা, মঞ্চসজ্জা ইত্যাদি কারিগরি দিকেও অবদান আছে তার।
জয়ীতার নির্দেশনায় প্রথম নাটক ‘প্রথম পার্থ’।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিচালিত রেপার্টরি থিয়েটার প্রযোজনায় জয়ীতা অভিনয় করেন নিয়মিত। একাডেমি আয়োজিত অভিনয় শেখার কর্মশালায় প্রশিক্ষক হয়েছেন।
জয়ীতা অভিনীত নাটক ‘গোলাপি পাঞ্জাবি’, টিভি সিরিয়াল ‘যাও পাখি’, ‘পৌষ ফাগুনের পালা’, ‘সাতটি তারার তিমির’ প্রশংসিত হয়েছে।