নিষেধাজ্ঞার পরও 'ইন্ডিয়াস ডটার' প্রচার

ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার পরও বিবিসি প্রচার করলো দিল্লীতে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেল শিক্ষার্থীকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র 'ইন্ডিয়াস ডটার'। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রচারের কথা থাকলেও জনগণের ‘অতিরিক্ত আগ্রহের’ কারণে আগেই তথ্যচিত্রটি প্রচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2015, 08:08 AM
Updated : 5 March 2015, 08:10 AM

ব্রিটিশ পরিচালক লেজলি অডউইন নির্মিত এই তথ্যচিত্রটি নিয়ে ভারতজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের পালর্ামেন্টেও তথ্যচিত্রটি নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। ভারতে এটির প্রচার নিষিদ্ধ করা হয় এবং দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বুধবার সকালে বলেছিলেন, অন্য দেশেও সিনেমাটির প্রচার ঠেকানোর চেষ্টা করা হবে। কিন্তু বুধবার রাতেই যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে বিবিসিতে তথ্যচিত্রটি প্রচারিত হয়।

তথ্যচিত্রে ধর্ষকদের মধ্যে একজন, মুকেশ সিং-এর সাক্ষাৎকার দেখানো হয়েছে। সাক্ষাৎকারে মুকেশ ধর্ষণের জন্য নারীদেরও দায়ী করেন। বেশিরভাগ নারীই শালীন পোশাক না পরায় পুরুষরা উত্তেজিত হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া,  রাতে নারীদের একা চলাফেরা, বিশেষত সিনেমাহল থেকে ফেরা বা প্রেমিকের সঙ্গে চলাফেরাকেও দুষেন ওই ধর্ষক। তিনি আরও বলেন, ধর্ষিতা যদি ধর্ষণ ঠেকানোর চেষ্টা না করতেন তাহলে তার মৃত্যু হতো না।

এই সাক্ষাৎকারের কারণেই মূলত তথ্যচিত্রটি প্রচারের ব্যপারে সরকারি মহল থেকে আপত্তি ওঠে।

এদিকে বিবিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'নির্ভয়া'র (ধর্ষিতার ছদ্মনাম) পরিবারের পূর্ণ সমর্থনেই তথ্যচিত্রটি নির্মিত হয়েছে।

"ধর্ষণের মত ঘৃণ্য এই অপরাধ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে, তা দেখানোই আমাদের উদ্দেশ্য। এরকম সংবেদনশীল একটি চলচ্চিত্রের সম্পাদনার বিষয়েও আমরা বিশেষভাবে খেয়াল রেখেছি।"

এই তথ্যচিত্রটি সবার দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মেয়েটির বাবা।

অন্যদিকে বিনা অনুমতিতে আসামীর সাক্ষাৎকার নেওয়া এবং তা প্রচারের অভিযোগ তুলে দিল্লিতে মামলা করাহয়েছে, শুরু হয়েছে তদন্ত। বিবিসিসহ আরও কয়েকটি চ্যানেলকে নোটিশ পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে নয়াদিল্লীতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর ২৩ বছর বয়সী 'নির্ভয়া'কে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ১৩ দিন পর মেয়েটি মারা যায়।

মোট ছয় ধর্ষকের মধ্যে চার জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে, একজন কারাগারেই আত্মহত্যা করেছে আর অপরজন ঘটনার সময় ছিল নাবালক।