সিনেমার প্রথম দিনের শুটিং শেষে সেনা সদস্যের পোশাকে নিজের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শেয়ার করেছেন ‘দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস’ খ্যাত এই অভিনেতা।
ফেইসবুকের ওই পোস্টে গর্ডন-লেভিট লেখেন, “ আমি খুবই অবাক হয়েছি জেনে যে, ২০০৪ সালে স্নোডেন মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন। তিনি ইরাক যুদ্ধে অংশ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফোর্ট বেনিং-এ প্রাথমিক প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার সময় তার দুই পা ভেঙ্গে যায় এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে সৈনিকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।”
“এরপরও তিনি তার দেশের হয়ে কাজ করতে চাইতেন (তাকে পছন্দ করুন আর না করুন; মানতেই হবে তিনি একজন দৃঢ় সংকল্পের ব্যাক্তি)। আর তাই শেষ পর্যন্ত তিনি সিআইএ-তে যোগদান করেন এবং এখানেই তার গোয়েন্দা জীবনের শুরু হয়।”
গর্ডন-লেভিট আরও লিখেন, “আমার মনে হয়েছে, আজকের এই দৃশ্যটি ছিল সিনেমার শুটিং শুরু করার জন্য একেবারে উপযুক্ত। এটা কঠিন ছিল; তবে অবশ্যই সত্যিকারের যুদ্ধের প্রশিক্ষণের তুলনায় এটা কিছুই না। আর আমি- কেবল অলিভারের সঙ্গে একজন সৈন্য হিসেবে শুটিং-এ অংশ নিয়েই গর্বীত ও রোমাঞ্চ অনুভব করছি। আমি বারবার শুধু নিজেকে এটাই বলেছি- এই লোক ‘প্লাটুন’ তৈরি করেছে!"
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং তথ্যের ওপর নজরদারী নিয়ে তথ্য ফাঁস করেন এডওয়ার্ড স্নোডেন।
সিনেমাটির গল্প আবর্তীত হয়েছে স্নোডেনের জীবনের সে সময়টিকে ঘিরে, যখন তিনি সিদ্ধান্তে উপনীত হন যুক্তরাষ্ট্রের এই জনস্বার্থবিরোধী তৎপরতার কথা ফাঁস করে দেবেন। অস্কারজয়ী তথ্যচিত্র নির্মাতা লরা পোইট্রাস এবং দ্য গার্ডিয়ানের সাবেক সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ডের ব্যক্তিগত বিষয়ে এনএসএ এর নজরদারীর বিষয়টি ফাঁস করে দেন তিনি।
লরা পোইট্রাস পরে এই ঘটনা নিয়েই নির্মাণ করেন ‘সিটিজেনেফোর’ নামের তথ্যচিত্রটি। চলতি বছরের অস্কারে ‘সিটিজেনফোর’ সেরা তথ্যচিত্রের সম্মান অর্জন করে।