২৪ রূপে ক্যাপ্রিও

একজন মানুষের ভেতর বাস করে ২৪ জন ভিন্ন ব্যক্তি! মার্কিন এক মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ছিল ভিন্ন ভিন্ন ২৪টি সত্ত্বা। আর সেই ব্যক্তিকেই বড় পর্দায় চরিত্রায়ণের দায়িত্ব বর্তেছে অভিনেতা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর ওপর।

শরীফুল হক আনন্দবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2015, 11:13 AM
Updated : 3 March 2015, 11:13 AM

সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত মার্কিন নাগরিক বিলি মিলিগানকে নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে 'দ্য ক্রাউডেড রুম'। আর সেই সিনেমায় মিলিগানের চরিত্রে অভিনয় করবেন ক্যাপ্রিও।

১৯৭৭ সালে মিলিগানকে অভিযুক্ত করা হয় তিনজন নারীকে ধর্ষণ এবং ডাকাতির মামলায়। কিন্তু আদালতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি। তার আইনজীবীরা প্রমাণ করেন, অপরাধগুলো ঘটিয়েছে তার দুটি ভিন্ন সত্ত্বা। ১৯ বছর বয়সী সমকামী আডালানা নামক সত্ত্বাটির ওপর দেওয়া হয় ধর্ষণের দায়, যে গৃহ পরিচারিকার কাজ করে বেড়াতো। আর ডাকাতির জন্য দোষী করা হয়, ইয়ুগোস্লাভিয়ান সমাজতান্ত্রিক র‍্যাগেনকে। 

পরবর্তীতে মনোবিদদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে বের হয়ে আসতে থাকে মিলিগানের অন্যান্য ব্যক্তিত্বগুলোও, যার মধ্যে ছিল আরও দুজন নারী, একটি তিন বছর বয়সী মেয়ে শিশু, একজন অস্ট্রেলীয়, আর্থার নামের এক সম্ভ্রান্ত ব্রিটিশ। ১৩টি সত্ত্বাকে বলা হয়েছিল অনাকাঙ্খিত, যাদের আদর্শিক দ্বন্দ্ব ছিল অন্যা সত্ত্বাগুলোর সঙ্গে।

মিলিগানের জীবনী নিয়ে সিনেমা নির্মাণে হলিউডে অনেক আগে থেকেই আগ্রহ তৈরি হয়। মিলিগানই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি কিনা আদালতে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে মাল্টিপল পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার বা বহু ব্যক্তিত্বজনিত মানসিক ব্যাধির বিষয়টি ব্যবহার করেন। ১৯৯০ সালে পরিচালক জেমস ক্যামেরনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সিনেমাটি পরিচালনা এবং এর চিত্রনাট্য লেখার।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে কাজ আর এগোয়নি। পরিচালক জোয়েল শুমাখার এবং ডেভিড ফিঞ্চারও আলোচনায় এসেছিলেন সিনেমাটির পরিচালক হিসেবে। মিলিগানের চরিত্রে এ নিয়ে ভাবা হয়েছে জনি ডেপ, ম্যাথু ম্যাককোনাহে, শন পেন, ব্র্যাড পিট এবং জন ক্যুসাকের মত অভিনেতাকে। অবশেষে মিলিগানকে পর্দায় নিয়ে আসছেন ক্যাপ্রিও।

১৯৮১ সালে ড্যানিয়েল কেইয়েসের লেখা 'দ্য মাইন্ডস অফ মিলিগান'- এর ওপর কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে 'দ্য ক্রাউডেড রুম' সিনেমাটির কাহিনি। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনার কাজও করবেন ক্যাপ্রিও।