কিন্তু ইন্টারনেটে ভারতীয়রা যে অভিনেত্রীকে সবচেয়ে বেশি খুঁজেছেন তিনি হলেন ক্যাটরিনা কাইফ। ক্যাটরিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় নন, গণমাধ্যমেও তাকে খুব একটা কথা বলতে দেখা যায় না, গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য কোনো চরিত্রে অভিনয়ও করেননি। তাহলে দিপিকার চেয়ে কেন বেশি জনপ্রিয় এই নায়িকা?
এর সম্ভাব্য কয়েকটি কারণের কথা বলছে ভারতীয় সাময়িকী ইন্ডিয়া টুডে।
ওগো বিদেশিনী!
বিদেশিনী মানেই - অজানারে জানার অমোঘ আকর্ষণ, যা এড়াতে পারেন না কোনো ভারতীয়। বিস্ময় আর মুগ্ধতার সেই অনন্য মিশেল অনুভূতি সৃষ্টি হয় ক্যাটরিনাকে দেখলেও। আর সেই বিদেশিনীই যখন দেশী পোশাকে মন ভোলানোর চেষ্টা করেন তখন মুগ্ধতা বহুগুনে বাড়ে।
সম্পর্কের গোপনীয়তা
নিজের সম্পর্কের ব্যাপারে কখনোই সরব নন ক্যাটরিনা কাইফ। সালমান খানের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক কিংবা সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়া নিয়ে কখনোই মুখ খোলেননি এই তারকা। রানবির কাপুরের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে জল্পনা-কল্পনা চললেও মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন তিনি। শুধু তাই নয় জনসমক্ষে প্রেমিকের সঙ্গে কখনো দেখা যায়নি তাকে। অন্যদিকে সিদ্ধার্থ মালিয়া, রানবির কাপুর কিংবা হালের রানভির সিং - নিজের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার ব্যপারে সবসময়ই উদারমনা দিপিকা। যদিও রানভির সিং সঙ্গে প্রেমের কথা কখনোই স্বীকার করেননি তিনি। তবে এই জুটিকে ঘনিষ্ট অবস্থায় প্রায়ই দেখা গেছে।
ডিজনি রাজকুমারী
ডিজনির রূপকথানির্ভর সিনেমার রাজকুমারী হিসেবে খুব সহজেই মানিয়ে যাবে ক্যাটরিনাকে। সে মেয়েটিই যখন হিন্দিতে কথা বলতে এবং ভারতীয় নারী হয়ে উঠতে এত কঠোর পরিশ্রম করে, তখন তা সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।
বিতর্কে না জড়ানো
ক্যাটরিনার গায়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিতর্কের ছিটে লাগেনি। সহকর্মী, পরিচালক এবং প্রযোজকরা সবসময়ই তার সময়ানুবর্তিতা, পরিশ্রম করার মানসিকতা এবং তার ভদ্র আচরণের প্রশংসা করেছেন। এমনকি সাবেক প্রেমিক সালমান খানের সঙ্গেও তার সম্পর্ক খুবই ভালো। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তেমন একটা অন্তরঙ্গ দৃশ্যে কিংবা সাহসী চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাকে। অন্যদিকে নিজের মত প্রকাশে কখনোই পিছু না হটা দিপিকা সাম্প্রতিক স্তনের ভাঁজ ইস্যু, শাহরুখের জন্য সালমানের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মতো নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে সাহসী চরিত্রে অভিনয়েও পিছপা হননি।
মেয়ে হতে হবে ফর্শা
সবশেষে একটা বিষয় অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, ভারতীয়রা সবসময়ই ফর্শা গায়ের রংকে প্রাধান্য দেয়। আর এক্ষেত্রে শ্যামলা সুন্দরী দিপিকাকে হার মানতেই হবে দুধে-আলতা বরণের ক্যাটরিনার কাছে।