'পরী নিজেই একটি ব্র্যান্ড'

“অন্যদের মতো আমি কোনো প্রতিষ্ঠিত নায়কদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই না। আমি নিজেই ‍নিজের ওপর নির্ভরশীল। অন্যরা চাইলে আমার হাত ধরে পরিচিতি পাক। কিন্তু আমি কারও হাত ধরব না। কারণ পরী নিজেই একটি ব্র্যান্ড।”

জয়ন্ত সাহাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Feb 2015, 01:56 PM
Updated : 6 Feb 2015, 01:56 PM

কথাগুলো এ সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির, যার একটি সিনেমাও এখ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। তবে অভিনয় করে ফেলেছেন ২৯টি সিনেমাতে। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এমন ঘটনা সত্যিই বিরল। এ বছর মুক্তি পেতে পারে পরী অভিনীত একাধিক চলচ্চিত্র।

সম্প্রতি ‘মহুয়া সুন্দরী’র ডাবিং সেটে দেখা মিলেছিল হালের অন্যতম ব্যস্ত এই নায়িকার।

আত্মবিশ্বাসী পরী বলছেন, “এখন শাকিব-বাপ্পীর নামে হলমালিকরা সিনেমা নিচ্ছে। খুব বেশি দিন বাকি নেই, যখন হল মালিকরা পরীর সিনেমাও বুকিং করতেও মুখিয়ে থাকবে।”

রওশন আরা নিপা পরিচালিত সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘মহুয়া সুন্দরী’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে রূপদানকারী পরী বলছেন, “২০১৫ সালে এই সিনেমাটি হতে যাচ্ছে পরীর সিনেমা। দর্শকরা সিনেমাটি দেখে বলতে বাধ্য হবে এটি পরীর সিনেমা।”

ছবি--আসাদুজ্জামান প্রামাণিক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

ক্যারিয়ারের অন্য সিনেমাগুলো নিয়েও পরীর বিশ্বাস, শুধু তার নামেই দর্শক হলে যাবে সিনেমাগুলো দেখতে।

“নিন্দুকরা কত কথাই বলবে! দেখুন, আমার যদি যোগ্যতা না থাকত তাহলে তো পরিচালকরা আমাকে এতগুলো সিনেমাতে নায়িকা হিসেবে নিতেন না। ব্যাপারটি খুব সোজা না। আমার প্রতিটি সিনেমার বাজেট এক কিংবা দুই কোটি। এই বিগ বাজেটের সিনেমাতে কাজ করা চাট্টিখানি কথা নয়। তাছাড়া আমার বিপরীতে যারা কাজ করছে, তারা সবাই এ সময়ের আলোচিত নায়ক। কোনো ফালতু অভিনেতার সঙ্গে আমি কাজ করছি না।”

দর্শকদের উদ্দেশ্যে বললেন, “পরী আসছে, পরী আসবে-- এমন কথা এক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু আসবো বললেই তো আর আসা যায় না। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো নেই। এ সময়ে সিনেমা মুক্তি দেওয়া খুব ঝুঁকির। এছাড়া আমি নিজেও চাই, কোনো একটা ভালো সময়ে দর্শকের সামনে হাজির হতে।”

তবে এমন একটা সময়ও ছিল যখন বাংলা সিনেমাকে বেশ অবহেলার চোখেই দেখতেন পরী।

ছবি--আসাদুজ্জামান প্রামাণিক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

“আমি যখন পুরোদমে সিনেমাতে অভিনয় শুরু করিনি, তখন বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করতে নাক সিঁটকাতাম। নিজেকে বাংলা সিনেমার নায়িকা হিসেবে পরিচয় দিতে বেশ বিব্রত হতাম। তবে কাজ করতে গিয়ে আমি বাংলা সিনেমার প্রেমে পড়ে গেলাম।”
 ‘মহুয়া সুন্দরী’ সিনেমাটি নিয়ে পরীর মন্তব্য, “সরকারি অনুদানের সিনেমার সংজ্ঞা পাল্টে দেবে সিনেমাটি। একই সঙ্গে সরকারি অনুদানের সিনেমাতে বাণিজ্যিক কোনো উপাদান নেই, দর্শকের এমন ধারণা বদলে দেবে। বাজেট স্বল্পতা, গল্পের সীমাবদ্ধতা সবকিছুকে ছাপিয়ে ‘মহুয়া সুন্দরী’ একটি অন্যরকম সিনেমা হতে যাচ্ছে।”

এ সিনেমাতে অভিনয় করতে গিয়ে পরীকে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। সিনেমার একটি গানের একটি সিকোয়েন্সের জন্য টানা সতের ঘণ্টা পুকুরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে বলেও জানান তিনি।