ওবামার প্রথম পছন্দ ছিলেন সালমান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার ভারত সফরের বিদায়ী বক্তব্যে শাহরুখ খানের সংলাপ ব্যবহার করায় বেজায় নাখোশ সালমান খানের ভক্তরা। তাদের জন্য স্বান্তনা হতে পারে এই খবরটি - ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র ঐ সংলাপের আগে ‘ওয়ান্টেড’ সিনেমা থেকে সালমানের জনপ্রিয় সংলাপ - “একবার জো ম্যায়নে কমিটমেন্ট কারদি...” আওড়াতে চেয়েছিলেন ওবামা।

সেঁজুতি শোণিমা নদীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2015, 08:59 AM
Updated : 29 Jan 2015, 08:59 AM

তবে ওবামা একটু পাল্টে নিয়েছিলেন সংলাপটি। মূল সংলাপটি ছিল এরকম- “একবার জো ম্যায়নে কমিটমেন্ট কারদি, তো ম্যায় খুদকি ভি নেহি সুনতা।” (আমি একবার প্রতিশ্রুতি দিলে নিজের বারনও শুনি না)। আর ওবামা বলতে চেয়েছিলেন, “একবার জো ম্যায়নে কমিটমেন্ট কারদি, তো ম্যায় পাকিস্তান কি ভি নেহি সুনতা।” (আমি একবার প্রতিশ্রুতি দিলে পাকিস্তানের বারনও শুনি না।)

ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফরে নিজের ভাষণে হলিউডি সংলাপ ব্যবহার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সবাইকে। ম্যাডিসন স্কয়ারে নিজের ওই বক্তব্যে ‘উলভারিন’ হিউ জ্যাকম্যানকে পাশে নিয়ে তিনি আওড়েছিলেন ‘স্টার ওয়ার্স’ সিরিজের বিখ্যাত সংলাপ “মে দ্য ফোর্স বি উইথ ইউ।”

বাগ্মীতার জন্য বিখ্যাত ওবামা ভারত সফরে মোদিকেও টেক্কা দিতে চাইছিলেন। আর তাই ওবামার সহকারীদের রীতিমতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তার জন্য খুঁজে বের করতে হয়েছে হিন্দি সিনেমার কিছু বিখ্যাত সংলাপ। শাহরুখের ডিডিএলজের সংলাপ ছাড়াও ‘দিল তো পাগল হ্যায়’-এর সংলাপ ‘রাহুল, নাম তো সুনা হি হোগা’ এবং সালমানের ‘ওয়ান্টেড’- এর সংলাপও বিবেচনা করা হচ্ছিল ওবামার বক্তব্যের জন্য।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “বারাক ওবামা, তার বক্তৃতা রচয়িতা এবং মুখপাত্ররা গত কয়েক দিনে বেশ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছেন এই সিদ্ধান্ত নিতে। তারা একের পর এক বলিউডি সিনেমা দেখেছেন এই কয়েক দিনে এটা ঠিক করার জন্য যে, “বারাক ওবামা, নাম তো সুনা হোগা” (বারাক ওবামা, নাম তো শুনেছেন) নাকি, “একবার জো ম্যায়নে কমিটমেন্ট কারদি তো ম্যায় পাকিস্তান কি ভি নেহি সুনতা”- কোনটা ভালো শোনাবে।”

তবে শেষ পর্যন্ত শাহরুখের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’র সংলাপকে বেছে নেন ওবামা। মঙ্গলবার দিল্লিতে তার বিদায়ী ভাষণে ওবামা বলেন, “রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আমার প্রথম সফরটি ছিল ভারতে, এবং তখন থেকেই এই দেশকে আমি চিনতে শুরু করি। আমরা সেবার ভাংড়াও (এক ধরনের পাঞ্জাবি নাচ) নেচেছিলাম।”

“শেষবার মুম্বাইয়ে দীপাবলী উৎসবে অংশ নিয়েছিলাম আমি। আমরা সেবার কিছু শিশুর সঙ্গে নেচেছিলামও। দুভার্গ্যবশত এবারের সফরে আমরা সেরকম কিছু করার সময় পাইনি। সেনোরিটা, বাড়ে বাড়ে দেশো মে... জানেনই তো কি বলছি।”