সম্প্রতি চিকিৎসক শশিকান্ত পাওয়ার আদালতে বক্তব্য দেন, "মেডিকেল পরীক্ষার সময় সালমানের চোখের মণি স্বাভাবিকের চাইতে কিছুটা বড় ছিল। তবে তার কথাবার্তা ছিল স্বাভাবিক এবং হাঁটাচলাতেও কোন মাতলামি লক্ষ্য করা যায়নি।"
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় এক ফুটপাতে ঘুমন্ত ছিন্নমূল মানুষের ওপর গাড়ি তুলে দেন সালমান খান। এতে চারজন লোক আহত হন এবং মারা যান একজন।
দুর্ঘটনার পর তৎক্ষণাৎ সালমানকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় এক সরকারি হাসপাতালে, সেখানে তাকে পরীক্ষা করেন ডাক্তার শশিকান্ত পাওয়ার। তিনি আদালতে আরও বলেন, সালমানের দেহ থেকে মদের গন্ধ আসছিল কিন্তু মদ্যপান করেননি বলে তাকে জানান ঐ অভিনেতা।
এর আগে একজন চিকিৎসকসহ বেশ কয়েকজন সাক্ষী দাবি করেছেন, সেদিন গাড়ি চালানোর সময় মাতাল ছিলেন সালমান।
১৩ বছরের পুরনো এই মামলার নতুন করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে গত বছরের শেষের দিকে। এই মামলায় ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে, যার মধ্যে এখনও বাকি আছেন ৫-৬ জন।
সালমানের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ আনা হয়েছিল, মদ্যপান করে গাড়ি চালানোয় তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায় ও প্রাণহানী ঘটায়। এ রকম ঘটনায় দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধি রয়েছে।
তবে নতুন এই বিচারে আদালতের বিচার্য হচ্ছে ঐ ঘটনা দণ্ডনীয় নরহত্যা কি না, যেটি অবহেলায় মৃত্যুর চেয়ে গুরুতর অভিযোগ, যা প্রমাণিত হলে শাস্তি ১০ বছরের জেল।