চাষী নজরুল ইসলাম লাইফ সাপোর্টে

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং একুশে পদকজয়ী নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলামের শারিরীক অবস্থা আশঙ্কাজনক। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত এই নির্মাতার বিভিন্ন অঙ্গে সংক্রমণ এবং ফুসফুস অকেজো হয়ে পড়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

সেঁজুতি শোণিমা নদীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2015, 09:24 AM
Updated : 10 Jan 2015, 09:24 AM

ল্যাবএইড হাসপাতালের সমন্বয়কারী চিকিৎসক আলী আবরার জানান, শনিবার সকাল দশটায় এই নির্মাতাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তার আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে এই মুহূর্তে অবস্থান করছেন তার মেয়ে। চিকিৎসকেরা বলছেন, তার অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন না তারা।

আবরার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। বর্তমানে ক্যান্সার তার যকৃত, প্যানক্রিয়াস এবং মস্তিষ্কেও ছড়িয়ে পড়েছে। শ্বাস-প্রশ্বাস একেবারেই নিতে পারছেন না ফুসফুস অকেজো হয়ে পড়ায়। মাল্টি অর্গান ইনভল্ভমেন্ট ফেইলিয়রের কারণে এই মুহূর্তে তার জন্য দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।”

গত মাসের শুরুতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সৈয়দ আকরাম হোসেনের তত্ত্বাবধানে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ‘ওরা এগারো জন’ নির্মাতা। গ্লিটজকে তখন জানিয়েছিলেন, “আমার শরীরের অবস্থা খুব ভালো নয়। ডাক্তার আকরাম নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এখনও রিপোর্টগুলো হাতে পাইনি। জানি না, সেরে উঠবো কবে।”

৭৩ বছর বয়সী এই পরিচালক ১৯৬১ সালে ফতেহ লোহানীর ‘আছিয়া’ সিনেমার সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে পদার্পন করেন।তারপর পরিচালক ওয়াহেদ-উল-হকের সঙ্গেও বেশ কিছু দিন সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।

চাষী নজরুল ইসলাম নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। তারপর তিনি ‘সংগ্রাম’, ‘ভালো মানুষ’, ‘বাজিমাত’, ‘বেহুলা লক্ষিন্দর’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘হাসন রাজা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘শাস্তি’, ‘সুভা’র মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন।  ১৯৮২ সালে বুলবুল-কবরী-আনোয়ারাকে নিয়ে ‘দেবদাস’ নির্মাণ করেছিলেন। ২০১৩ সাল এসে শাকিব খান-অপু বিশ্বাস-মৌসুমীকে নিয়ে আবারও বানান সিনেমাটি।

১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’, ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ২০০৪ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।