‘পিকে’ সম্পর্কে পাঁচ অজানা তথ্য

কেউ বলছেন আমির খানের ক্যারিয়ারের সেরা সিনেমা, কেউ ছুঁড়ছেন অভিযোগের তীর। রাজকুমার হিরানি পরিচালিত 'পিকে' সিনেমাটি নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। মুক্তির পর চারদিনেই আয় একশ কোটি রুপি ছাড়ানো সিনেমাটি সম্পর্কে পাঁচটি অজানা তথ্য তুলে ধরা হলো।

সেঁজুতি শোণিমা নদীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2014, 11:53 AM
Updated : 26 Dec 2014, 05:14 AM

১. বাহারি ভিনগ্রহবাস আমির

‘পিকে’তে আমির যে ভিনগ্রহবাসীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সে কথা এখন আর কারও অজানা নয়। তবে মজার ব্যাপার হলো, এলিয়েন হিসেবে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরতে পর্দায় কখনোই চোখের পলক ফেলেননি আমির। সিনেমা জুড়ে আমির হেসেছেন, কেঁদেছেন, খেয়েছেন, গান গেয়েছেন, কিন্তু একটি বারের জন্যও দু চোখের পাতা এক করেননি।

২. ধার করা পোশাক

সিনেমায় আমির অভিসাররত প্রেমিকজুটিদের গাড়ির জানালা দিয়ে তাদের খুলে রাখা কাপড় তুলে নিয়ে নিজের দেহ ঢাকেন। আর সে কারণে গোটা সিনেমাতেই বিচিত্র সব পোশাকে হাজির হতে দেখা যায় তাকে। সিনেমার দুই কস্টিউম ডিজাইনার এই সব পোশাক নিজেরা তৈরি করেননি কিংবা কেনেননি। নানা ধরনের মানুষের কাছে অদ্ভুতুড়ে সব গল্প ফেঁদে সব পোশাক যোগাড় করেছেন তারা।

৩. হাত ধরলেই শেখা যায় ভাষা!

সিনেমায় দেখানো ভিনগ্রহবাসীদের কতোই না অতিন্দ্রীয় ক্ষমতা থাকে। ‘পিকে’তে আমিরের ক্ষমতা হলো যে কারও হাত ধরে তার সম্পর্কে সব কিছু জানতে পারা। আর এভাবেই এক নারীর হাত ধরে ভোজপুরি ভাষা আয়ত্ত করে ফেলেন তিনি আর পুরো সিনেমায় এ ভাষাতেই কথা বলেন। 

৪. রানবিরও এলিয়েন!

‘পিকে’ মুক্তির পর যে বিষয়গুলো সবাইকে চমকে দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো অতিথি চরিত্রে রানবির কাপুরের উপস্থিতি। আরও মজার ব্যপার হচ্ছে রানবিরও এক এলিয়েনরূপেই হাজির হন। 

৫. ‘ওএমজি’-এর সঙ্গে মিল নেই

‘পিকে’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ২০১২ সালের সিনেমা ‘ওএমজি: ওহ মাই গড’-এর সঙ্গে এর কাহিনির সাদৃশ্য নিয়ে আলোচনা চলছে বিস্তর। কিন্তু যারাই সিনেমা দুটি দেখেছেন, তারা একবাক্যে বলছেন গল্পের দিক থেকে একেবারেই আলাদা ‘ওএমজি’ আর ‘পিকে’।

‘পিকে’র কাহিনি গড়ে উঠেছে পৃথিবীতে হঠাৎ করে আসা এক ভিনগ্রহবাসীর ঈশ্বর সংক্রান্ত ধ্যান-ধারণা নিয়ে। আর এদিক থেকেই অনেকে ধর্মানুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ তুলছেন সিনেমাটির বিরূদ্ধে।