সেরা দশ ক্রিসমাসের সিনেমা

শরীফুল হক আনন্দবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2014, 11:15 AM
Updated : 25 Dec 2014, 11:32 AM

১. ব্যাড স্যান্টা (২০০৩)

ক্রিসমাসের সময়টাতে সান্তা সেজে বিভিন্ন দোকান লুটে নেওয়ার ফন্দি আঁটে দুজন প্রতারক। সব কিছু চলছিল পরিকল্পনামাফিক, বিপত্তিটা বাঁধে ব্রেট নামের এক চালাক কিশোরের পাল্লায় পড়ে। বিলি বব থর্নটন এবং টনি কক্স অভিনীত কমেডি ধাঁচের সিনেমাটি ক্রিসমাসের ছুটিতে বিনোদনের ভালোই সরদ যোগাবে।   

২. স্ক্রুজড (১৯৮৮)

আশির দশকের শেষ ভাগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিসমাস উদযাপনের প্রেক্ষাপটে এগিয়েছে সিনেমাটি। ফ্র্যাঙ্ক ক্রস একজন স্বনামধন্য টিভি ব্যক্তিত্ব। তবে হঠাৎ করেই তাকে পেয়ে বসে ক্রিসমাসে তিন ভূতের আতঙ্ক। শেষ পর্যন্ত ক্রসের নানা আজগুবি আচরণ ধরা পড়ে যায় টেলিভিশনের পর্দায়। অস্কার মনোনয়ন পাওয়া এই কমেডি সিনেমায় প্রখ্যাত অভিনেতা বিল মারের অনবদ্য অভিনয় অবশ্যই বেশ উপভোগ্য।

৩. মিরাকল অন থার্টি ফোর্থ স্ট্রিট (১৯৪৭)

ড্রামা ধাঁচের সিনেমাটিতে অবশ্য ক্রিসমাসের আনন্দ এবং উৎসবমুখরতার পাশাপাশি উঠে এসেছে ভিন্ন একটি দিক। নিজেকে সান্তা ক্লজ দাবি করা এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ঘোষণা করে নিয়ে যাওয়া হয় বিশেষ এক মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে। এদিকে এক তরুণ আইনজীবী এগিয়ে আসেন তার সাহায্যে। আদালতে তাকে সুস্থ প্রমাণ করার জন্য চালিয়ে যান প্রাণপণ চেষ্টা। জর্জ সিটন পরিচালিত অসাধারণ এই সিনেমাটি সেবারের অস্কার আসরে বগলদাবা করে তিনটি পুরস্কার। আর সান্তা ক্লজের চরিত্রে অভিনয় করে প্রয়াত এডমন্ড গুয়েনও জেতেন একটি অস্কার।

৪. হোম অ্যালোন (১৯৯০)

ক্রিসমাসের সন্ধ্যায় একা বাড়িতে আটকা পড়ে এক ছোট্ট ছেলে। বাবা-মা প্যারিসে ক্রিসমাসের ছুটি কাটাতে যখন ব্যস্ত তখন কেভিন ম্যাকঅ্যালিস্টারকে বাড়ি বাঁচাতে হবে ডাকাতদের হাত থেকে। একাই মাথা খাটিয়ে বারবার পণ্ড করে দেয় ডাকাতদের নানা চাল। নব্বইয়ের দশকের দুর্দান্ত সিনেমাটিতে কেভিন চরিত্রে অভিনয় করেন সর্বকালের সেরা শিশু তারকাদের একজন হয়ে উঠেছিলেন ম্যাকলি কালকিন। এই ক্রিসমাসে আরও একবার উপভোগ করতে পারেন দারুণ এই হাসির সিনেমাটি। 

৫. দ্য মাপেট ক্রিসমাস ক্যারোল (১৯৯২)

চার্লস ডিকেন্সের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমায় উঠে এসেছে মাপেটদের জীবনের নানা দিক। এক ক্রিসমাসের সন্ধ্যায় জীবন্ত হয়ে ওঠা মাপেটদের গল্পে স্ক্রুজ হিসেবে যোগ দেন মাইকেল কেইন। ক্রিসমাসের সন্ধ্যায় আরামে উপভোগ করে যাওয়ার হালকা মেজাজের সিনেমা এটি।

৬. দ্য নাইটমেয়ার বিফোর ক্রিসমাস (১৯৯৩)

পরিচালক টিম বার্টন মানেই - চেনা গল্পগুলো পাবে নতুন চেহারা। হ্যালোউইনের সঙ্গে ক্রিসমাসের যোগসূত্র ঘটিয়েছেন এই সিনেমায়। হ্যালোউইন শহরের রাজা জ্যাক স্কেলিংটন হঠাৎই হাজির ক্রিসমাস টাউনে। উৎসবের আমেজ দেখে ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন করে বসে “হচ্ছে টা কি এসব?" ক্রিসমাস এবং হ্যালোউইন- দুটি উৎসবের সিনেমা হিসেবেই এটিকে চালিয়ে দেওয়া যায়।

৭. গ্রেমলিন্স (১৯৮৪)

কে জানত, ক্রিসমাসে উপহার পাওয়া এক পোষা বিড়ালের ভেতর লুকিয়ে আচ্ছে অভিশপ্ত এক আত্মা? কিছু না জেনেই এক কিশোর তার নতুন এই অতিথির ভেতর থেকে বের করে আনে সেই আত্মাটি, আর সেটি হানা দেয় পুরো শহরে। ভৌতিক পরিবেশের সাথে হালকা কমেডির মিশ্রণে ক্রিসমাসের সন্ধ্যার জন্য উপযুক্ত সিনেমাটি।

৮. এলফ (২০০৩)

মানুষ হিসেবেই যার সাধারণভাবে বেড়ে ওঠার কথা, সে বেড়ে ওঠে সান্তার সহকারী একজন এল্ফ হিসেবে। বিপত্তিটা বাঁধে বড় হবার পর। দীঘর্াঙ্গ হওয়ার এল্ফদের পাশে বেমানান সে। শেষ পর্যন্ত তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মার্কিন মুলুকে, তার আসল পরিচয় খুঁজে বের করার জন্য। উইল ফেরেলের চমৎকার অভিনয় আর জন ফ্যাভেরুর পরিচালনা সিনেমাটিকে অসাধারণ সাফল্য এনে দেয়। নিঃসন্দেহে ক্রিসমাসের সেরা সিনেমাগুলোর একটি এটি। 

৯. ডাই হার্ড (১৯৮৮)

যাদের একটু অ্যাকশন ধাঁচের সিনেমা পছন্দ তারাও নিরাশ হবেন না। আপনাদের জন্য রয়েছে ‘ডাই হার্ড’। লস অ্যাঞ্জেলসের নাকাটুমি প্লাজায় ক্রিসমাস উৎসবে হঠাৎ জার্মান সন্ত্রাসীদের হামলা। জিম্মি করা হলো বেশ কয়েকজনকে। আর এদেরকে উদ্ধারের দায়িত্ব গিয়ে পড়ল নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা জন ম্যাক্লেইনের উপর। রোমাঞ্চে ভরপুর এই সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন হলিউড তারকা ব্রুস উইলস এবং অ্যালান রিকম্যান। চারটি অস্কার মনোনয়নও রয়েছে সিনেমাটির ঝুলিতে। 

১০. ইটস আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ (১৯৪৬)

বিষন্ন এক ব্যক্তি ক্রিসমাস ইভে নিজের জীবনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এমন সময় আবির্ভাব ঘটে দেবদূতের। সে কি ফেরাতে পারবে লোকটিকে আত্মহননের পথ থেকে? ফ্র্যাঙ্ক কাপ্রা পরিচালিত ‘ইটস আ ওয়ান্ডারফুল লাইফ’ নিঃসন্দেহে যে কোনো সিনেমাপ্রেমীর পছন্দ তালিকায় শীর্ষস্থানীয় সিনেমা। আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিউটের শীর্ষ শত মার্কিন সিনেমার তালিকায় স্থান পেয়েছে সিনেমাটি।