সিমির জন্য ‘পাংশু’

ইভটিজিংয়ের শিকার নারায়ণগঞ্জ চারুকলা ইনস্টিটিউটের ছাত্রী সিমা বানু সিমির আত্মহননের ঘটনার তের বছর পেরিয়ে গেছে। এখনও বিচার পাওয়ার আশায় দিন গুনছে তার পরিবার। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের ‘ক্রমাগত হুমকি’ ও ‘আক্রমন’ও সইতে হচ্ছে। তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ঢাকার নাট্যদল সাত্ত্বিক নাট্যসম্প্রদায়। নাটককে তারা প্রতিবাদের হাতিয়ারে পরিণত করেছে।

বিনোদন প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2014, 06:49 AM
Updated : 25 Dec 2014, 06:28 AM

সোমবার মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে তারা মঞ্চস্থ করেছে প্রতিবাদী পথনাটক ‘পাংশু’। দলের ২৫তম প্রযোজনার নাটকটি ষষ্ঠবারের মতো মঞ্চস্থ হচ্ছে বলে জানান এর নাট্যকার ও নির্দেশক সগীর মোস্তফা।

সগীর বলেন, “আমরা প্রকৃত সত্যটি জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে চেয়েছি। সিমির ঘটনাটি হয়তো কালের গহ্বরে হারিয়েই যাবে। কিন্তু আমরা এটা হতে দেব না। আইনের বিচারে অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে যাবে বারবার, এটা তো মানা যায় না। আমরা সংস্কৃতিপ্রেমীরা এর প্রতিবাদ করবোই।”

২০০১ সালের ২৩শে ডিসেম্বর ঢাকার খিলগাঁওনিবাসী সিমা বানু সিমি ইভটিজিংয়ের অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। তার আগে সে একটি চিরকুটে এলাকার বখাটে দোয়েল, খলিল, মোফাজ্জ্বল, রিপনসহ এক পুলিশ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে যায়।

এ ঘটনায় সিমির বাবা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু নিম্ন আদালতে অভিযুক্তদের একজন খালাস পায়, বাকি পাঁচ জনের এক বছরের কারাদণ্ড হয়। হাইকোর্টও এ রায় বহাল রাখে। এরপর অভিযুক্তরা নানাভাবে সিমির পরিবারকে হুমকি ও তাদের ওপর হামলা চালালে সিমির বাবা ৬০টি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু প্রশাসন সহযোগিতার বদলে উপহাস করেছে বলে অভিযোগ করেন সগীর।  

২০০১ সালের রচিত নাটকটি প্রথমবারের মতো মঞ্চস্থ হয় ২০০২ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি।