বার্কশায়ারের উইন্ডসরে নিজেদের বাসভবনে পরিবারের এবং বন্ধুদের সঙ্গে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের বিয়ে উদযাপন করেন তারা। তাদের দুই ছেলে জ্যাখারি এবং এলিজাহ অনুষ্ঠানে পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন ডেভিড এবং ভিক্টোরিয়া বেকহাম, সংগীতশিল্পী এড শিরান এবং অভিনেতা ডেভিড উইলিয়ামস।
বিয়ের ছবি এবং বিবরণ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে ইন্সটাগ্রামে এর মধ্যেই একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন এল্টন। সেখানেই বিয়ের ছবি শেয়ার করে এল্টন লেখেন, “আইনি প্রক্রিয়া শেষ। এখন অনুষ্ঠানের পালা।#শেয়ার দ্য লাভ।”
এর আগে সকালে আরেকটি ছবি তিনি শেয়ার করেন, যার ক্যাপশনে লেখা ছিল, “শুভ সকাল। বিয়ের জন্য চমৎকার একটি দিন আজ।”
পরবর্তীতে তিনি আরেকটি ছবি শেয়ার করেন তাদের অনুষ্ঠানের। সেখানে তিনি লেখেন, “টেবিলগুলো দেখতে দারুণ লাগছে। নয় বছর আগে আমাদের সিভিল পার্টনারশিপের অনুষ্ঠানটিও আমরা লাল গোলাপ দিয়ে সাজিয়েছিলাম। সেই লাল গোলাপ সত্যিই আমাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনেছে।”
চলতি বছরের মার্চে সমকামী বিয়ে বৈধ ঘোষণা করে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলশ সরকার। এল্টন জন তখনই ঘোষণা দিয়েছিলেন সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে দ্রুতই বিয়ে করবেন তিনি।
এল্টন বলেছিলেন, “আমাদের সিভিল পার্টনারশিপে আবদ্ধ হওয়াটা ছিল এক বিশাল পদক্ষেপ সেই সব মানুষের জন্য, যারা দীর্ঘদিন ধরে সমকামীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন। সেই পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকে সমকামী হওয়াটা কিংবা একে প্রকাশ্যে স্বীকার করাটাই ছিল খুবই কঠিন একটা ব্যাপার। কারণ তখন সমকামিতাকে গণ্য করা হতো অপরাধ হিসেবে।”
“আর তাই আইনের এই বৈধতা আমাদের জন্য বিশাল এক আনন্দ বয়ে এনেছে। আমাদের উচিৎ একে যথাযথভাবে উদযাপন করা। আমাদের এমনটা মনে করা ঠিক হবে না যে, ‘আরে আমাদের তো সিভিল পার্টনারশিপের বৈধতা আছেই। কী দরকার বিয়ে করার!’ আমরা অবশ্যই বিয়ে করবো।”
অভিনেতা হিউ গ্র্যান্ট টুইট করেন, “গ্রুম গ্রুম- ব্রিটেন ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে গেল। এল্টন এবং ডেভিড, তোমাদের অভিবাদন। ইংল্যান্ডকে অভিবাদন।”
কমেডিয়ান জিমি কারের টুইট, “#শেয়ার দ্য লাভ। দুজন অসাধারণ মানুষের অসাধারণ বিয়ের অনুষ্ঠানে। এল্টন এবং ডেভিডের জন্য শুভকামনা।”