সম্প্রতি গ্লিটজের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় ডন বলেন, “নতুনদের মধ্যে অনেকের সঙ্গেই কাজ করেছি আমি। তারা অভিনেতা নয়, আসছে হিরো হতে। হিরো হতে কত প্রচেষ্টা তাদের! আমার মতে, এখন বাংলা সিনেমাতে কোনো হিরো নেই, যাকে দর্শক অন্ধভাবে অনুসরণ বা অনুকরণ করবে।”
নতুনদের মধ্যে খল চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছা নেই বলেও মনে করেন তিনি।
“নতুনদের মধ্যে যারা খলচরিত্রে কাজ করতে আসছে, তাদের মধ্যে খলচরিত্রে অভিনয়ের জন্য নেই প্রস্তুতি, নেই একাগ্রতা। উল্টো শুটিং শেষ হওয়া মাত্রই পারিশ্রমিকের টাকা ঠিক মতো পেল কি না তাই নিয়ে ভাবছে। অভিনেতা হতে গেলে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যে ধরনের সম্পর্ক গড়ে ওঠা প্রয়োজন তা তাদের মধ্যে নেই।”
প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহ অভিনীত ২৭টি সিনেমার ২৩টিতে খল চরিত্রে অভিনয় করা ডন বললেন, “সালমান শাহ-এর পরে কোনো অভিনেতাই হিরো হয়ে উঠতে পারেননি। শাকিব, রিয়াজ, শাকিলসহ আরও অনেকের সঙ্গে অভিনয় করলেও সালমান-ডন জুটির মতো আর কখনোই হবে না।”
চলচ্চিত্রাঙ্গনে নানা ক্ষেত্রে দলীয়করণ নিয়েও ক্ষুব্ধ তিনি। তিনি বলছেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে সিনিয়ররা জুনিয়রদের সুযোগ দিতে চান না। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সেই সরকারের লোকজনই কাজ করছে। মেধা থাকা সত্ত্বেও দলীয়করণের জন্য অনেকেই কাজ করতে পারছেন না। মেধাহীনরা সুযোগ পাচ্ছে। তাই সিনেমার মানও নামছে।”
টালিগঞ্জের বেশ কটি সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েও নানা ভাবনায় তা নাকচ করে দিয়েছেন ডন। এখন অভিনয় করছেন সাঈফ চন্দনের ‘টার্গেট’ ও হাসিবুর রেজা কল্লোলের ‘সত্তা’ সিনেমাতে।
১৯৯১ সালে বিএফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে আয়োজনে অডিশন দিয়েছিলেন ডন। তাতে অনুত্তীর্ণ হয়ে হতাশ হননি মোটেও। ঠিকই সুযোগ করে নিয়েছিলেন সোহানুর রহমান সোহানের ‘লাভ’ সিনেমাতে। প্রথম সিনেমাতেই খলচরিত্রে অভিনয়, তারপর একই পরিচালকের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে। খলচরিত্রে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। অথচ কে বলবে, ঢাকাই সিনেমার এই খলনায়ক হতে চেয়েছিলেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। সে পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়ে বদলে ফেলেন জীবনের গতিপথ।