ভারতীয় দৈনিক মিড-ডে বলছে, প্রিয়াঙ্কা এবং তার মায়ের মালিকানাধীন ওই ভবনের তিন তলা ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল চক্রটি। তবে প্রিয়াঙ্কা নিজে এ ব্যাপারে কিছু জানতেন না।
একটি সূত্র জানায়, “এই ভবনটির মালিক প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং তার মায়ের ক্লিনিক এর পাশেই অবস্থিত। তিন হাজার বর্গফুটের পুরো ফ্লোরটি চোপড়ার মালিকানাধীন। সেখানে যৌন ব্যবসা চলছে এ কথা জানতে পেরে পুলিশ এই মাসের শুরুতে সেখানে অভিযান চালায়।”
কারিশমা স্পা অ্যান্ড বিউটি সেন্টার নামের ওই পার্লার থেকে এর ব্যবস্থাপক দিনেশ চন্দ্রকান্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে তিনজন নারীকেও উদ্ধার করেন তারা। তবে এই ব্যবসার মালিক মানিক সোনিকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে তদন্তরত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এখনও সোনিকে খুঁজছি, যিনি পলাতক রয়েছেন। একবার তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে তার সঙ্গে ওই অভিনেত্রীর চুক্তির বিষয়ে আমরা আরও অনেক কিছু জানতে পারবো।”
মানিক সোনি মুম্বাই সিনেজগতে বেশ পরিচিত এক নাম। তাকে প্রায়ই ফিল্মি পাটর্িগুলোতে অংশ নিতে দেখা যায়। সূত্র জানাচ্ছে, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সোনিকে বিশ্বাস করেই ভাড়া দিয়েছিলেন। এমনকী এই কারিশমা স্পা এবং বিউটি সেন্টারের উদ্বোধনীতে উপস্থিতও ছিলেন তিনি।
“এই স্পায়ের মালিক মানিক সোনি এখনও পলাতক। বলিউডের অনেক পাটর্িতে তাকে দেখা যেত এবং ফিল্ম ও টেলিভিশনের অনেককেই সে চেনে। তদন্ত এখনও চলছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই চোপড়ার সঙ্গে চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো। আর তখনই আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।”