শুরু হচ্ছে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব

ভারতীয় উচ্চাঙ্গসংগীতের সবচেয়ে বড় আয়োজন বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের তৃতীয় আসর শুরু হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার। উৎসবে অংশ নিচ্ছেন ১৬০ জন শিল্পী এবং নিবন্ধন করেছেন ৬০ হাজার শ্রোতা। 

চিন্তামন তুষারচিন্তামন তুষারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2014, 04:20 PM
Updated : 30 Nov 2014, 10:42 AM

বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী গ্লিটজকে বলেন, “শিল্পী ও দর্শক অংশগ্রহনের বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব এটি।” 

নিবন্ধন শুরুর আগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরীও একই কথা বলেন। তিনি জানান, প্রথম আয়োজনে নিবন্ধিত শ্রোতার সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার এবং শিল্পী ছিলেন ১০০ জন। দ্বিতীয় আয়োজনে নিবন্ধন করেন ৩৫ হাজার শ্রোতা ও ১০০ জন শিল্পী অংশ নেন।

উৎসবে অংশ নেওয়া শ্রোতাদের বেশিরভাগই বয়সে তরুণ বলেও জানিয়েছিলেন লুভা নাহিদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, “অন্যান্য দেশেও শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব আয়োজন করা হয়, তবে বেঙ্গল-আইটিসি এসআরএ আয়োজিত উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবটির মতো একটানা ১১ ঘণ্টা পরিবেশনা কোথাও হয় না এবং এত শ্রোতাও সেখানে যায় না।”

ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের উৎসবগুলো বেশিরভাগই আয়োজন করা হয় ভারতে। পশ্চিম ভারতীয় এবং কর্নাটকি উভয় ধারার আলাদা উৎসব অনুষ্ঠিত হয় প্রতি বছর। উৎসবগুলো ব্যাক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয়ভাবেও আয়োজিত হয়। বিষয় বৈচিত্র্যের দিক থেকেও একেক উৎসব একেক রকমের।

১৯৫৩ সালে শুরু হওয়া স্বামী গার্ন্দভ ভীমসেন মহাৎসোবকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব। উৎসবটিতে প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার শ্রোতা ও শিল্পী অংশ নেন।

কর্নাটকি ধারার উৎসব চেম্বাই সাংগিথাসাভাম শুরু হয় ১৯১০ সালে, যার কলেবড় ১২ থেকে ১৫ দিন এবং দুই থেকে আড়াই হাজার শিল্পী পরিবেশনায় অংশ নেন। কর্নাটকি ধারার থিয়াগারাজা আরাধনা হচ্ছে প্রাচীন একটি সংগীত উৎসব, যেটি শুরু হয় ১৮৪৬ সালে। উৎসবটিতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।

নবনীতা জানান, ১০ দিনে ৬০ হাজার আবেদন গ্রহণের পরই নিবন্ধন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। উৎসব প্রাঙ্গণে সীমিত সংখ্যায় নিবন্ধন করার সুযোগ যদিও থাকছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উৎসবের উদ্বোধন হবে বাংলাদেশের প্রথিতযশা শিল্পীদের সম্মেলক গানে। এরপরই সংগীত পরিবেশন করবেন আজিনক্যা জোশি, মালবিকা সারুক্কাই, রাজরূপা চৌধুরী, রুচিরা কেদার, শহীদ পারভেজ খান, অজয় চক্রবর্তী এবং দেবাশিস ভট্টাচার্য।

উদ্বোধনী দিনেই অজয় চক্রবর্তী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত মঞ্চে স্লাইড গিটারের সঙ্গে যুগলবন্দী পরিবেশন করবেন।