দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ১৯২০ সালে ৮ই নভেম্বর জন্ম নেন তিনি আর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন ২৫শে নভেম্বর।
কলকাতায় জন্ম নেওয়া সিতারার নাচের প্রতিভা ৮ বছর বয়সেই সংস্কৃত পণ্ডিত বাবা সুখদেব মহারাজার হাত ধরে বিকশিত হতে শুরু করে। সে সময়ের রক্ষণশীল বাঙ্গালি সমাজে নারীদের শিল্পচর্চাকে উৎসাহ দেওয়া হতো না। তাই তার পুরো পরিবারকেই সমাজের বিরোধিতার শিকার হতে হয়।
সামাজিক বাঁধার মুখে ১১ বছর বয়সে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে হয় সিতারা দেবীকে। বেনারসে বাবার কত্থক শিক্ষাকেন্দ্রে প্রশিক্ষণ শুরু হয় এরপর। তবে তার আগেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সারোজিনি নাইড়ু ও স্যার চোয়াসজি জাহাঙ্গীরের সামনে তিন ঘণ্টা ধরে নাচ পরিবেশন করে তাদের মুদ্ধ করেন।
ছয় দশকের ক্যারিয়ারে সিতারা দেবী তার নিজস্বতা গড়েছেন বাবার শেখানো মুদ্রা, কত্থকের লুকোনো বিষয়-রস ও সংগৃহীত কবিতা ব্যবহারের মাধ্যমে। তার পরিবেশনায় কত্থকের বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা ও পরিশীলন লক্ষ্যণীয়।
বেনারস ঘরানায় নিজস্বতা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সিতারা অবদান রেখেছেন বলিউডি নাচের জগতেও। মধুবালা, রেখা, মালা সিনহা ও কাজলের মতো তারকাদের নাচের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তিনি। ১৯৩৬ সাল থেকে অভিনয়ও করেছেন তিনি। 'ভগবান', 'পূজা', 'মাদার ইন্ডিয়া'র মতো চলচ্চিত্রে দেখা গেছে তাকে।
নৃত্যকলায় অবদানের জন্য ভারত সরকারের সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি সম্মাননা (১৯৬৯) এবং পদ্মশ্রী (১৯৯৫) সম্মাননাসহ পেয়েছেন কালিদাস সম্মাননা ও নৃত্য নিপুনাসহ বহু খেতাব।