ভিনা মালিকসহ চারজনের ২৬ বছর কারাদণ্ড

ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানের আলোচিত অভিনেত্রী ভিনা মালিকসহ চারজনকে ২৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2014, 07:28 AM
Updated : 26 Nov 2014, 10:50 AM

বাকি তিনজন হলেন- ভিনার স্বামী মালিক আসাদ, জং গ্রুপের টিভি চ্যানেল জিও টিভির মালিক মীর শাকিলুর রেহমান ও অনুষ্ঠান সঞ্চালক শায়েস্তা লোদি।

গিলগিটের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের বিচারক রাজা শাহবাজ মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন বলে দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। 

কারাদণ্ডের পাশাপাশি চার আসামির প্রত্যেককে ১৩ লাখ রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে। তারা আত্মসমর্পণ না করলে তাদের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।

রায় ঘোষণা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করে দণ্ড কার্যকরের জন্য ইসলামাবাদ, পাঞ্জাব, সিন্ধ ও বেলুচিস্তানের পুলিশ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

পাকিস্তানের আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের গিলগিট-বালতিস্তান শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট হেমায়েতুল্লাহ খান গত ২৬ মে এই মামলা দায়ের করেন।

তার অভিযোগ ছিল, জিও টিভির সকালের অনুষ্ঠান ‘জেগে ওঠো পাকিস্তান’- এ প্রচারিত একটি কাওয়ালিতে আহলে বাইয়াতের অবমাননা করা হয়েছে।

ওই অনুষ্ঠানের সেদিনের বিষয় ছিল অভিনেত্রী ভিনা মালিকের বিয়ে, যিনি খোলামেলা পোশাকে গণমাধ্যমে এসে এবং নানা বিস্ফোরক মন্তব্যের কারণে আলোচিত ও বিতর্কিত হয়েছেন।

ওই অনুষ্ঠানে কাওয়ালির সঙ্গে বশির ও ভিনাকে নাচতে দেখা যায়। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন শায়েস্তা লোদি।

অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শেষে যৌথ তদন্ত দল গত ১ সেপ্টেম্বর আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। 

বিচার শেষে পাকিস্তানের ১৯৯৭ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ভিনা, আসাদ, শাকিল ও শায়েস্তা লোদিকে দোষী  সাব্যস্ত করে আদালত।

ওই অনুষ্ঠান প্রচারের পর পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে এই জিও টিভি কর্তৃপক্ষসহ চারজনের বিরুদ্ধে অন্তত দশটি মামলা হয়। বিতর্কের মধ্যে জিও কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চাইলেও মামলা চলতে থাকে।

পাকিস্তানে গত কয়েক দশকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ব্যাপক উত্থান ঘটলেও ধর্ম অবমাননা বা ব্লাসফেমি আইন রয়েছে সেই ঊনিশশ ষাটের দশক থেকে। ধর্মভিত্তিক দলগুলো ব্যক্তিগত স্বার্থে এ আইন ব্যবহার করছে বলেও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ রয়েছে।