আবারও পপি

তিন বছর বিরতির পর আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি।  ২৮শে নভেম্বর  মুক্তি পেতে যাচ্ছে পপি অভিনীত ‘চার অক্ষরের ভালোবাসা’ সিনেমাটি। সিনেমাতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস ও নিরব।

তানজিল আহমেদ জনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2014, 05:03 AM
Updated : 26 Nov 2014, 07:12 AM

সম্প্রতি সিনেমাটি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পপি বললেন, তিনি হারিয়ে যাননি। 

“সিনেমাতে অভিনয় করবো না এমন ঘোষণা কখনও দিইনি। আমি সবসময়ই বেছে কাজ করি। কোনো সিনেমাতে আমার আস্থার জায়গা তৈরি হলে কেবল সেই সিনেমাতে অভিনয় করি। শুধুমাত্র ব্যস্ত থাকতে হবে, এমন তত্ত্বে আমি বিশ্বাসী নই।”

প্রত্যাবর্তনের সিনেমাটি নিয়ে বেশ আশাবাদী পপি। ‘চার অক্ষরের ভালোবাসা’ দশর্কের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে মনে করছেন তিনি। বলছেন, দর্শককে বিনোদন যোগানোর সব উপকরণ এই সিনেমাতে রয়েছে। 

নিরবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করা প্রসঙ্গে পপি বলেন,"আমি কখনোই নতুন পুরনো বলে কাউকে মূল্যায়ন করি না।আমি নিরবকে একজন শিল্পী হিসেবেই মূল্যায়ন করেছি।আর একজন শিল্পী হিসেবে আমার সবার সঙ্গেই কাজ করতে হবে।"

নবীন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে আরও বললেন, তাদের সঠিক মূল্যায়ন করতে না পারলে তাদের চলচ্চিত্রে আসাই ‘মূল্যহীন’ হয়ে যাবে।

চলচ্চিত্রাঙ্গনের হালহকিকত নিয়ে পপি বলেন, “আমরা কারিগরি দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। সবার আগে এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।”

পপি জানান, বেশ কটি সিনেমার ব্যাপারে কথার্বাতা চলছে। তবে হুট করে নয়, চিত্রনাট্য পড়ে এবং চরিত্রটির সঙ্গে সত্যিই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন কি না সে বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবেন।

ভবিষৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বলেন, "আমি নিজেকে একজন শিল্পী মনে করি। শিল্পী হিসেবে আমি জীবনের শেষ মুহূর্ত পযর্ন্ত কাজ করে যেতে চাই। সেক্ষেত্রে আমার কোনো তাড়াহুড়ো নেই। আমি ছোটবেলার সেই কচ্ছপের গল্পকে অনুসরণ করি। আমি মনে করি তাড়াহুড়ো করে কোন কাজ করার চেয়ে নিজেকে গুছিয়ে একটি বা দুটি ভালো কাজ করাই ভালো।”

১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন পপি। ২০০৩ সালে ‘কারাগার’, ২০০৮ সালে ‘মেঘের কোলে রোদ’, ২০০৯ সালে ‘গঙ্গাযাত্রা’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন।