'আবারও বিয়ে করতে চাই'

সত্তরের দশকের পর্দা কাঁপানো ভারতীয় অভিনেত্রী জিনাত আমান পা দিলেন ৬৪তে। প্রেম ও বিয়ের ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার এই অভিনেত্রীর ভালবাসার প্রতি আস্থা এখনও অটুট। আর তাই যোগ্য সঙ্গী পেলে আরও একবার বিয়ে করতে চান বলেই জানালেন তিনি।

সেঁজুতি শোণিমা নদীআইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2014, 11:38 AM
Updated : 20 Nov 2014, 11:38 AM

“অবশ্যই আমি আরও একবার বিয়ে করতে চাই। কেন চাইবো না? দেখুন, এতোগুলো বছর আমাকে সবসময় আমার দুই ছেলে আজান এবং জাহানের কথাই চিন্তা করতে হয়েছে। বেড়ে ওঠার সমটাতে আজান-জাহানের দেখভাল আর সুখই ছিল আমার কাছে মুখ্য বিষয়।”

জিনাত আরও বলেন, “এখন ওরা বড় হয়েছে এবং নিজেদের আলাদা আলাদা জীবন গড়ে নিয়েছে। এখন আমি আমার নিজের জীবন নিয়ে আবার ভাবনা-চিন্তা শুরু করতে পারি।”

১৯৭০ সালে মিস এশিয়া প্যাসিফিকের মুকুট জেতার পর হিন্দি সিনেমায় অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা শুরু হয় জিনাতের। বলা হয়ে থাকে, পারভিন ববি এবং তার হাত ধরেই হিন্দি সিনেমায় অভিনেত্রীদের চরিত্রায়নে পাশ্চাত্যের মতো গ্ল্যামার যোগ হয়। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নিজের দাপট বজায় রাখা জিনাত পরিচিত ছিলেন তার আবেদনময়ী ইমেজের জন্য।

শোনা যায় বিবাহিত অভিনেতা সঞ্জয় খানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে এক সাক্ষাৎকারে সে কথা স্বীকারও করেন তিনি। 

১৯৮৫ সালে জিনাত বিয়ে করেন উঠতি অভিনেতা মাজহার খানকে। এরপর থেকেই সিনেমায় অভিনয় ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেন তিনি।

“আপনাদের বুঝতে হবে, একটানা ১৫ বছর আমি সিনেমায় কাজ করেছি। আমার যখন বিয়ে হল তখন আমি আর নিতে পারছিলামনা। আমি চেয়েছিলাম আমার দাম্পত্যজীবন, আমার স্বামী এবং সন্তানদের দিকেই সবটুকু মনোযোগ দিতে।”

দুর্ভাগ্যবশত মাজহারের সঙ্গে তার সংসারজীবন সুখের হয়নি। এমনকি বিয়েটা শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদে গড়ায়। 

“কারো ওপরে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। আমি বিশ্বাস করি ভাল মানুষ এখনও আছে পৃথিবীতে। আমি আরও বিশ্বাস করি, ভালবাসা এবং বন্ধুত্বের স্থান সবসময়ই হৃদয়ে থাকে।”

আবারও সংসারী হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও বলিউডে ফিরে আসার ব্যাপারে এখনও খুব একটা আশাবাদী নন জিনাত।

“আমাদের বয়সী অভিনেত্রীদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে আসলে যোগ্য চরিত্র আছে কমই। এমনকী, সুযোগ এখানে নেই বললেই চলে। তাছাড়া ভালো বলুন আর মন্দ বলুন, আমি আসলে কাজের পেছনে দৌড়াতে পারি না। আমি কখনোই সেটা করিনি। আমার কাছে প্রস্তাব এলে সেখান থেকে বাছাই করে কাজ করেছি সবসময়।”