‘পার্শ্ব-চরিত্রেও সুযোগ আছে’

সমসাময়িক অভিনেত্রীরা যখন পর্দায় নায়ককেই ভাগাভাগি করতে রাজি নন তখন নিপুণ বলছেন, পাশ্বর্-চরিত্রকে হেলা করা উচিৎ নয়।

জয়ন্ত সাহাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2014, 01:33 PM
Updated : 23 Oct 2014, 01:33 PM

নিপুণ গ্লিটজকে বলেন, “আমি মনে করি,পার্শ্ব-চরিত্রেও অভিনয়ের সুযোগ রয়েছে। পার্শ্ব-চরিত্রই কখনও কখনও সিনেমার গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে আমার কোনো আপত্তি নেই।”

অবশ্য পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয়ই তাকে এনে দিয়েচে দেশে অভিনয়ের সবর্োচ্চ স্বীকৃতি। ২০০৮ সালে ‘সাজঘর' এবং ২০০৯ সালে ‘চাঁদের মত বউ’ চলচ্চিত্রের জন্য পার্শ্ব-চরিত্রে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন নিপুণ।

সম্প্রতি জি সরকার পরিচালিত ‘ভালোবাসা ২০১৪’তে দেখা গেছে তাকে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। নিপুণের ভাষ্যে, “সিনেমাটিতে অভিনয়ের সুযোগ ছিল বলে অভিনয় করছি।”

এখন নিপুণ অভিনয় করছেন অরূপ রতন চৌধুরীর ‘স্বর্গ থেকে নরক’ সিনেমাতে। এক মডেলের মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমায় তার বিপরীতে রয়েছেন ফেরদৌস।

এ বছর মুক্তি পেতে পারে নিপুণ অভিনীত ‘মায়ানগর’ এবং ‘একাত্তরের মা জননী’ সিনেমা দুটি। শাহ আলম কিরণের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘একাত্তরের মা জননী’তে নিপুণ অভিনয় করছেন দ্বৈতচরিত্রে। এক বীরাঙ্গনা এবং এ সময়ের এক নারীর চরিত্রে দেখা যাবে তাকে।

প্রথমবারের মতো মুক্তিযুদ্ধের সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে বললেন, “বীরাঙ্গনার চরিত্রে অভিনয় করা মোটেই সোজা ছিল না। অনেক দৃশ্য রয়েছে সিনেমাতে যেগুলোতে অভিনয় করতে গিয়ে শিউরে উঠেছিলাম।”এই সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে বড় অনুপ্রেরণা ছিলেন নিপুণের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আলী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার সাবেক এই অধ্যাপকের মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে বড় হয়েছেন নিপুণ।

এছাড়াও প্রসেনজিতের বিপরীতে টালিগঞ্জের ‘পরিচয়’ সিনেমাতেও দেখা যাবে নিপুণকে। সিনেমাটি এ বছর মুক্তি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।