দিপিকাকে এ সময়ের এক নম্বর নায়িকাই বলা চলে। শুরুটা হয়েছিল মডেলিং দিয়ে। এরপর 'ওম শান্তি ওম’ সিনেমায় শাহরুখ খানের বিপরীতে বলিউডে অভিষেক। শ্যামলা এই সুন্দরী নজর কাড়েন প্রথম সিনেমাতেই।
কিন্তু ২০১৩ সালে 'রেইস টু' মুক্তির পর থেকে দিপিকার রঙ বেশ বদলে গেছে। এমনকি ফর্শা হওয়ার প্রসাধনীর বিজ্ঞাপনেও দেখা গেছে তাকে। গুঞ্জন শোনা যায়, ফর্শা হওয়ার জন্য স্কিন ব্লিচিং করিয়েছেন তিনি। তবে কখনও এ কথা স্বীকার করেননি ২৮ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী।
এমনকি 'দেশি গালর্’ গানের তালে পৃথিবীকে নাচানোর সময়ও শ্যামা সুন্দরী ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু হালের সিনেমাগুলো দেখে মনে অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে তার গায়ের রঙ। শোনা যায় ফর্শা হওয়ার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন এই তারকাও।
অভিনেত্রী কাজলের চেহারার পরিবর্তন খুব সহজেই ধরা পড়েছে দর্শকের কাছে। অবশ্য নব্বইয়ের দশকের এই অভিনেত্রী শ্যামলা হয়েও মাতিয়েছেন বলিউড। কিন্তু মা হবার পর বেশ কিছুদিন কাজ থেকে বিরত থাকেন কাজল। এরপর ক্যামেরার সামনে দেখা যায় তার অন্য রূপ।
কাজলের হঠাৎ ফর্শা হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সবাই চোখ বন্ধ করে ধরে নিয়েছিলেন 'মেলানিন সার্জারি'র কথা। কিন্তু কাজলের ভাষ্যে শুধুমাত্র ঘরের ভেতরে থেকেই নিজের গায়ের রঙে পরিবর্তন এনেছেন তিনি। কাজলের দাবী, শ্যামলা হয়েও ব্যাপক খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। কাজেই এখন নতুন করে গায়ের রঙ বদলানোর প্রয়োজন নেই।
নব্বইয়ের দশকের এই আবেদনময়ী অভিনেত্রী অকপটেই স্বীকার করেন তার 'নোস জব’-এর কথা। তবে দেহের উজ্জ্বলতা নিয়ে কখনও কিছু বলেননি শিল্পা। যদিও দর্শকের মনে সন্দেহ ঠিকই রয়ে যায়।
'জিসম' মুক্তির পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজের স্তন বড় করেন বিপাশা। কিন্তু নিজের শ্যাম বর্ণ বেশ গর্বিতই ছিলেন এই নায়িকা। শেষ পযর্ন্ত উজ্জ্বল রঙের কাছে হার মানতেই হয়েছে তাকে। বিপাশার 'স্কিন ব্লিচিং’-এর খবর নিশ্চিত করেছে তারই ঘনিষ্ঠ এক সূত্র।
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা শ্রিদেবির নামও উঠে আসে এখানে। হিন্দি সিনেমার ক্যারিয়ার শুরুর আগে শ্রিদেবি অভিনীত তামিল সিনেমাগুলো দেখলে অনেকেই তাকে চিনতে ভুল করবেন!
তামাটে রঙ হতে পারে আবেদনময় - এই মতবাদ প্রতিষ্ঠায় বরাবরই ভূমিকা রেখেছেন চিত্রাঙ্গদা। তার গায়ের রঙ দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরিতে ভুমিকা রেখেছে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা যায় এই অভিনেত্রীর মাঝেও। নিজের গায়ের রঙ ফর্শা করেই ক্ষান্ত হয়েছেন তিনি।