৭ই অক্টোবর রাতে হঠাৎ করেই লরেন্সের দুটো ফাঁস হওয়া নগ্ন ছবি দেখা যায় উইকিপিডিয়ায় তার প্রোফাইলে। অবশ্য ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ২০ মিনিটের মাথায় ছবিগুলো মুছে দেওয়া হয়।
অবাক করার মত ব্যাপার হল, ঠিক সেদিনই প্রকাশিত হয়েছিল নগ্ন ছবি ফাঁস বিষয়ক লরেন্সের মন্তব্য। ভ্যানিটি ফেয়ার পত্রিকার নভেম্বর সংখ্যার জন্য দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের মত এই ব্যাপারে মুখ খোলেন লরেন্স।
সাক্ষাৎকারে লরেন্স বলেন, “এটা কোনো কেলেঙ্কারি নয়। এটা যৌন অপরাধ। জঘন্য একটা ব্যাপার। এটা যৌন হয়রানি।”
লরেন্স আরও বলেন, “অভিনেত্রী হওয়ার কারণেই যে কেউ আমার নগ্ন শরীর দেখতে পারবে বিষয়টি এমন হওয়া মোটেই উচিৎ না। এখানে আমার নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাপার রয়েছে। এবং যেহেতু এখানে আমার কোনো সম্মতি ছিল না, সেহেতু এটা খুবই জঘন্য একটা ব্যাপার হয়েছে।”
এই সাক্ষাতকার প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই উইকিতে দেখা যায় লরেন্সের ছবি।
ওদিকে নারীদের ব্লগ জেজেবেলের দাবী, পেইজটি আসলে উইকির কোনো পেইজ ছিল না বরং উইকির মত দেখতে একটি ভুয়া পেইজ তৈরি করে সেখানে ছবিগুলো দেওয়া হয়েছে। উইকির সম্পাদকরা কেউই এই বিষয়ে কিছু জানেন না।
প্রায় এক মাস ১০১ জন নারী তারকার আইক্লাউড অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে গোপনীয় ছবিগুলো হাত করা হয়।
এখন পযর্ন্ত ফাঁস করা হয়েছে জেনিফার লরেন্স, রিহানা, ভ্যানেসা হাজেনস, কিম কারদাশিয়ান, জেনি ম্যাককারথি, গ্যাব্রিয়েল ইউনিনসহ বেশ কিছু নারী তারকার ছবি। এছাড়াও এমা ওয়াটসেনর ছবি ফাঁসের হুমকি দেওয়া হয়েছে।