ভারতীয় দৈনিক মিড ডে বলছে, সিআইএনটিএএতে তালিকাভুক্ত নন এমন শিল্পীরা এখন থেকে ভারতের বিনোদন জগতে কাজ করতে পারবেন না। আর এখানে তালিকাভুক্ত হতে পারবেন তারাই, যাদের রয়েছে ‘ই-ভিসা’।
ই ভিসাধারী বিদেশি নাগরিকদের ভারতে এসে ব্যবসা করার অনুমতি দেয়া হয়, ফলে তারা বেশি সময় সেখানে থাকার সুযোগ পান। অপরদিকে বি ভিসাধারীরা কিছুদিনের জন্য ভারতে থাকার সুযোগ পান।
বলা হচ্ছে, বেশিরভাগ পাকিস্তানি শিল্পী বি ভিসা নিয়েই হিন্দি সিনেমায় কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে সিআইএনটিএএর তরফ থেকে বলা হয়, "শুধুমাত্র যারা ই ভিসার মাধ্যমে ভারতে এসেছেন, তারা আমাদের প্রতিষ্ঠানে নাম লেখাতে পারবেন। বি ভিসাধারীরা পারবেন না। আর বেশিরভাগ পাকিস্তানি শিল্পী যারা নিয়মিত কাজ করছেন তাদের সবাই বি ভিসাধারী।"
আরও জানানো হয়, যারা এই নিয়ম পালন না করে কাজ করে যাবেন তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।
আরও বলা হয়, "পাকিস্তানি শিল্পীদের মধ্যে যারা ভারতে কাজ খুঁজতে আসেন, তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কাছে আমরা একটি চিঠি লিখেছি। ভারতীয় শিল্পীদের প্রতি কখনও উদারতা দেখায়নি পাকিস্তান, আর তাদের শিল্পীরা এখানে এসে ভারতীয় শিল্পীদের কাজের সুযোগ কেড়ে নিচ্ছে। এটা কোনো ভাবেই মানা যায়না।"
তিনি জানান, পাকিস্তানি অভিনেত্রী ভিনা মালিককে বলা হয়েছিল সিআইএনটিএতে নাম লেখাতে। কিন্তু বি ভিসা থাকার কারণে তিনি লেখাতে পারেননি। ভিনা জানিয়েছিলেন, শিল্পীদের ই ভিসা দেয়না পাকিস্তান সরকার।
ই-ভিসা ছাড়া ভারতে কাজ করছেন ‘খুবসুরাত’-এর অভিনেতা ফাওয়াদ খান এবং 'রাজা নাটওয়ারলাল’ সিনেমার অভিনেত্রী হুমায়মা মালিকের মতো পাকিস্তানি তারকারা।