দ্য ইন্ডিয়ান ওমেনস প্রেস কর্পোরেশন (আইডব্লিউপিসি) সম্প্রতি একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে দিপিকা প্রতিবাদ জানানোর পর টাইমস অফ ইন্ডিয়া যে বক্তব্য দিয়েছে তার সমালোচনা করে।
২২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এই বিবৃতিতে বলা হয়, দিপিকার অভিযোগ আমলে নিয়ে ক্ষমা চেয়ে সংবেদনশীলতা দেখানোর বদলে দৈনিকটি কেবল নিজেদের পক্ষে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, "তিনি আগে এ ধরনের খোলামেলা ছবি তুলেছেন কিংবা আগে এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেছেন কী না সেটা এখানে মুখ্য বিষয় নয়। তার কাছে কোনো কিছু অবমামনাকর মনে হলে প্রতিবাদ করার পূর্ণ অধিকার তার আছে।"
আরও বলা হয়, “ বিষয়টির প্রতি নূন্যতম সংবেদনশীলতা না দেখিয়ে পত্রিকাটি জঘন্যভাবে নিজেদের সাফাই গেয়ে চলেছে।"
"নারীর পণ্যায়ন এবং নারীকে যৌনতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা গুরুতর একটি বিষয়। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিরও এ বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিৎ যেখানে নারীর রূপায়ন মোটেই মুক্ত চিন্তার পরিচয় দেয় না। তবে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সম্মান জানানোর ভান করে নারীকে এমনভাবে তুলে ধরা যা পশ্চাতপদ চিন্তারই পরিচয় দেয় - এমনটা গণমাধ্যমের করা উচিৎ নয়।"
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার টুইটার পেইজে সম্প্রতি প্রকাশ করা হয় একটি ভিডিও, যার শিরোনাম ছিল ‘ওএমজি! দিপিকার বুকের ভাঁজ দেখা যাচ্ছে!’
এক বছর পুরনো ভিডিওটি নতুন করে শেয়ার করায় তা নজরে পড়ে দিপিকার এবং তিনি টুইটারেই এর প্রতিবাদ জানান।
এরপর নিজের ফেইসবুক পেইজে এ বিষয়ে একটি খোলা চিঠি লেখেন দিপিকা। জবাবে টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় দিপিকার উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি ছাপা হয়।