শাহ আব্দুল করিমের ছেলে শাহ নূর জালাল জানান, এবার অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়েই প্রয়াণ দিবসে স্মরণ করা হচ্ছে এই শিল্পীকে। দুপুরে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বিকালে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে সুনামগঞ্জ ও দিরাইয়ের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি আব্দুল করিমের শিষ্যরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এরপর রাতভর বাউল গান চলবে কালনীপাড়ের উজানধল গ্রামে। শুধু উজানধল বা সুনামগঞ্জ নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাউল শিল্পীরা এই আসরে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন জালাল।
বাউল গানের কিংবদন্তী শিল্পী শাহ আবদুল করিম ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার উজানধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সংসারের নানা টানাপড়েন সত্বেও সুরের টানে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ সংগীত জীবনে তিনি ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’, ‘বন্দে মায়া লাগাইছে’, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘আমি কূলহারা কলঙ্কিনী’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু’, ‘বসন্ত বাতাসে সইগো’, ‘মহাজনে বানাইয়াছে ময়ুরপংখী নাও’সহ দেড় হাজারের বেশি সংগীত রচনা করেছেন।
২০০৯ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
মারা যান এ বাউল সাধক।
সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০১ সালে তিনি একুশে পদক পান। বাংলা একাডেমি তার ১০টি গানের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে। বাউল সম্রাটের সংগীতময় জীবন নিয়ে নাট্যদল সুবচন নাট্য সংসদ ‘মহাজনের নাও’ নাটকের নিয়মিত প্রদর্শনী করছে।