‘আমি ফিরে আসছি’

অর্থহীন ব্যান্ডের প্রধান সাইদুস খালেদ সুমন আবারও চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেছেন। আবারও ছুরি চলবে ক্যান্সার-আক্রান্ত এই সংগীতশিল্পীর দেহে। এর আগে ১০ বার অস্ত্রোপচার হয়েছে তার।

চিন্তামন তুষারচিন্তামন তুষারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2014, 10:02 AM
Updated : 11 Sept 2014, 10:02 AM

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে সুমন জানান, ১১ই সেপ্টেম্বর দুপুরে ব্যাংককের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সার্জারি হবে তার।

অপারেশন রুমে যাওয়ার আগে একটি সেলফিও পোস্ট করেন সুমন। ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “লাস্ট সেলফি? হেল নো! আমি ফিরে আসছি...” আর ছবিটির হ্যাশ ট্যাগ-- ওয়ার ইজ কামিং।

সুমন ব্যাংককের উদ্দ্যেশে দেশ ছাড়েন ৯ই সেপ্টেম্বর। সেখানে তিনি বাম্রুংরাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সুমনের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম গ্লিটজকে বলেন, “অগাস্ট মাসেও তিনি ব্যাংকক গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি প্রায় ১৫ দিনের মতো সেখানে ছিলেন। এবার গিয়েছেন ৯ই সেপ্টেম্বর। ১১ই সেপ্টেম্বর তার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে।”

ছবি: ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত।

নিজেই নিজের অবস্থার কথা ফেইসবুকে জানান সুমন। তিনি লেখেন, “আর কয়েক ঘণ্টা পর আমার গুরুত্বপূর্ণ দুটি সার্জারি হবে! গত ৫ বছরে এটা আমার ১১তম সার্জারি! জ্বী... ঠিকই পড়েছেন। এটা কোনো টাইপো নয়। একাধিক ক্যান্সার ফাইট করেছি আমি। সুতরাং সার্জারি ব্যাপারটা ইদানিং একটা অভ্যাসের মত হয়ে গেছে! ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করলে যা হয়, মৃত্যু ভয়ও কমে যায় একটা সময়। অন্তত আমার বেলায় তাই হয়েছে।”

একই পোস্টে তিনি বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের হালচাল নিয়েও নানা কথা বলেছেন। তিনি লিখেছেন, “একটা কথা বলি, গ্রেটার গুড অফ মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির কথা চিন্তা করেই কিন্তু এইসব মানুষের চেহারা সাধারণ শ্রোতার সামনে আনা উচিত। আপনি মিউজিক ভালবাসেন? আপনি চান বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির ভাল হোক? তাহলে আমাদের এখান থেকে এইসব জঘন্য মিথ্যাচারকে বিদায় দিতে হবে। ইটস নট অ্যাবাউট রিভেঞ্জ, ইটস অ্যাবাউট জাস্টিস! কারন আমি যদি মরেই যাই, তবে রিভেঞ্জের প্রশ্ন আসবে কোথা থেকে?”

সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে ক্লিক করুণ: আর কয়েক ঘন্টা পর আমার গুরুত্বপূর্ণ ২ টি সার্জারি হবে। 

২০১২ সালের অক্টোবর মাসে জানা যায় সুমনের পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে টিউমার রয়েছে। তবে টিউমারটি ছড়িয়ে পড়ছে না বলেও জানা যায়।

আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যান্ডসংগীত জগতে ‘বেজবাবা’ হিসেবে পরিচিত সুমন মুলত বেজিস্ট। তিনি ‘ফ্রিকোয়েন্সি’ নামের একটি ব্যান্ডের মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সংগীত জীবন শুরু করেন। ১৯৯০ সালে থেকে তিনি দেশের নানা ব্যান্ডে বেইজ বাজিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-- ফিলিংস, ওয়ারফেইজ, জলি রজার ইত্যাদি। তিনি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন ১৯৯২ সালে। এ পর্যন্ত তার তিনটি একক অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। ১৯৯৯ সালে ‘অর্থহীন’ ব্যান্ড গড়ে তোলেন। অর্থহীনের অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছেন ৬টি।