২৩ বছর বয়সী শোয়েতার শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। 'কাহানি ঘার ঘার কি’, 'কারিশমা কা কারিশমা’সহ অনেক হিন্দি সিরিয়ালে অভিনয় করা মেয়েটির আদুরে মুখ হয়তো আজও ছোট পর্দার দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। এরপর ভিশাল ভারাদওয়াজের পরিচালনায় ‘মাকড়ি’ সিনেমায় অভিনয় করে বড় পর্দার দর্শক ও সমালোচকদের মন জয় করে নেয় মেয়েটি। ‘ইকবাল’ সিনেমায়ও তার অভিনয় স্বীকৃত হয়। বাংলা, তামিল এবং তেলেগু সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। তাহলে কি এমন হলো যে আজ তার এই পরিণতি? জবাবটা দিলেন শোয়েতা নিজেই।
“আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব এবং আরও বেশ কিছু কর্তব্য্য ছিল। সব দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর কয়েক জন আমাকে বললো টাকা উপার্জনের জন্য দেহ বিক্রি করতে। আমি অসহায় ছিলাম এবং আর কোনো উপায় না থাকায় এই কাজ শুরু করলাম। “
একটি যৌন ব্যবসা চক্রের সংগঠকের সঙ্গে রোববার রাতে একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় শোয়েতাকে। পরদিন আদালত তাকে পাঠিয়ে দেন ভারতের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত একটি ত্রাণকেন্দ্রে। সেখানে তাকে তিন মাস বসবাস করতে হবে।
অন্যদিকে ঐ যৌন ব্যবসা চক্রের সংগঠক যে কি না প্রত্যেক খদ্দেরের কাছ থেকে ১ লাখ রুপি করে নিচ্ছিল বলে জানা গেছে, তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।