ব্র্যাড পিট-গিনেথ প্যালট্রো
একটুর জন্য অভিনেত্রী গিনেথ প্যালট্রোর সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি ব্র্যাড পিট। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত চুটিয়ে প্রেম করেছেন তারা। এমনকী আংটি বদলও সেরে ফেলেছিলেন সাইকোলজিকাল থ্রিলার ‘সেভেন’-এর এই জুটি।
জোলির সঙ্গে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ সিনেমায় যখন অভিনয় করছিলেন পিট, তখনও অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টোন ছিলেন তার অর্ধাঙ্গিনী। অনেকে এটাও দাবি করেন, পিট-অ্যানিস্টোনের পাঁচ বছরের সংসার ভাঙার নেপথ্যে নাকি ছিলেন জোলিই। যদিও জোলি সবসময়ই বলে আসছেন, পিটের বিচ্ছেদের পরই তার প্রেমের ডাকে সাড়া দেন তিনি। পিট অবশ্য বলেছেন ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ সিনেমার সেটে জোলি সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পরই তার প্রেমে পড়ে যান তিনি।
অথচ দুই বছরের প্রেমের পর ২০০০ সালে যখন গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন পিট আর অ্যানিস্টোন, তখন বলা হতো হলিউডের নিখুঁত জুটি তারা। ২০০৫ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের।
গিনেথ প্যালট্রো আর জেনিফার অ্যনিস্টোন ছাড়াও নব্বইয়ের দশক জুড়ে পিট প্রেম করেছেন রবিন গিভেন্স, জিল শোয়েলেন এবং জুলিয়েট লুইসের সঙ্গে। মজার ব্যাপার হলো, এদের সবার সঙ্গেই কোনো না কোনো সময় কাজ করেছেন পিট।
জোলির জীবনে প্রেমের আবির্ভাব খুব তাড়াতাড়িই ঘটে। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই মায়ের বাড়িতে সমবয়সী প্রেমিককে নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন তিনি। যদিও সম্পর্কটা টেকেনি দুই বছরও।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই আবার প্রেমে পড়েন জোলি। ২০ বছরের তরুণী জোলি আর ব্রিটিশ অভিনেতা জনি লি মিলার এক বছর প্রেমের পরই বিয়ে করে ফেলেন ১৯৯৬ সালে। বিয়ের আসরে ধবধবে সাদা গাউনের বদলে জোলির পরনে ছিল কাল রাবার প্যান্ট আর সাদা টি-শার্ট। যার উপরে নিজের রক্ত দিয়ে তিনি লিখেছিলেন মিলারের নাম।
তবে কৈশোরের মতোই তারুণ্যের এই আবেগও খুব দ্রুতই ম্লান হয়ে যায়। একবছর বাদেই আলাদা থাকা শুরু করেন তারা। আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয় ১৯৯৯ সালে।
অনেকেই হয়তো জানেন না, একটা সময় সমকামীও ছিলেন জোলি। ১৯৯৬ সালের সিনেমা ‘ফক্সফায়ার’-এ কাজ করতে গিয়ে তার পরিচয় হয়েছিল মডেল–অভিনেত্রী জেনি শিমিজুর সঙ্গে। পরবর্তীতে তার সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জোলির। নিজের এই সম্পর্ক গোপন করার কোনো চেষ্টা করেননি তিনি। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সরাসরিই জানিয়েছেন, নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রতিই আকর্ষণ বোধ করেন তিনি। এমনকী, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে, হয়তো ঐ সময় শিমিজুকে বিয়েও করতেন তিনি।
দুই মাস প্রেমের পর ২০০০ সালে বিলি বব থর্নটনকে বিয়ে করেন জোলি। দুই বছরের দাম্পত্যের এক পর্যায়ে কম্বোডিয়া থেকে শিশু দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন তারা। কিন্তু এর তিন মাস পরই আলাদা হয়ে যান। ২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয় তাদের।