ডিসেম্বরে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব

বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম আয়োজিত দ্বিবার্ষিক আর্ন্তজাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ১৩তম আসর শুরু হচ্ছে ৪ঠা ডিসেম্বর। উৎসবের জন্য নির্মাতাদের কাছ থেকে চলচ্চিত্র আহবান করা হয়েছে। দুইশরও বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে এবারের আয়োজনে।

চিন্তামন তুষারচিন্তামন তুষারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2014, 11:32 AM
Updated : 25 August 2014, 11:32 AM

দুটি প্রতিযোগিতামূলক শাখার পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে পাঁচটি শাখায়।

প্রতিযোগিতামূলক শাখা ‘ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন’-এ ফিকশন ও ডকুমেন্টারি ধারায় নির্মিত চলচ্চিত্র নিয়ে বিশ্বের যে কোনও নির্মাতা অংশ নিতে পারেন। চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য হতে হবে সব্বোর্চ ৬০ মিনিট। ‘তারেক শাহরিয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট শর্টস কম্পিটিশন’-এ শুধু বাংলাদেশি নির্মাতারা অংশ নিতে পারবেন। নির্মাতার বয়স সবোর্চ্চ ৩২ ও তার নির্মিত চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য সব্বোর্চ ১৫ মিনিট হতে হবে।

দুই ধরনের প্রতিযোগিতায় তিন বিজয়ীর প্রত্যেকে এক হাজার ডলার সম্মানী ও একটি ক্রেস্ট পাবেন।

প্রতিবারের মতো বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য একজন চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্বকে দেওয়া হবে আজীবন সম্মাননা।

ক্রিয়েটিভ ডকুমেন্টারিজ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মস, এশিয়ান ইন্ডিপেনডেন্ট সিনেমা নামে আরও তিনটি শাখায় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

অংশগ্রহণে আগ্রহী স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র নির্মাতারা প্রিভিউয়ের জন্য ডিভিডি পাঠাতে পারেন বা সিনেমার ডাউনলোড লিংক দিতে পারেন। বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের কার্যালয়ের ঠিকানা: ১০৮, আজিজ কোঅপারেটিভ সুপার মার্কেট, (৩য় তলা) শাহবাগ, ঢাকা- ১০০০; ই-মেইল করা যাবে info@isiff-bd.org -এই ঠিকানায়।

১৩তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবের ওয়েবসাইট www.isiff-bd.org – এ দেওয়া নির্ধারিত ফর্মে নির্মাতার ছবিসহ প্রাথমিক তথ্য দিতে হবে।

উৎসব পরিচালক তারেক আহমেদ গ্লিটজকে জানান, উৎসবে এবার ব্রিটিশ প্রামান্যচিত্র নির্মাতা কিম লংঙ্গিনোটোর সম্মানে তার নির্মিত আটটি সিনেমা নিয়ে আলাদা পর্ব থাকছে।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ৭টি দেশের ১০টি সিনেমা প্রদর্শিত হবে বিশেষ প্যাকেজের আওতায়।

‘বাংলাদেশ সিনেমা ট্যালেন্ট ক্যাম্পাস’ নামে তরুন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি বিশেষ কর্মশালা আয়োজিত হবে। ৬-১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচদিনব্যাপি কর্মশালাটিতে বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য অভিজ্ঞতা বিনিময় ও নেটওয়ার্কিং সেশনের আয়োজন করা হবে। কর্মশালা উপলক্ষে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্র পরিবেশক, ফান্ড ম্যানেজার, উৎসব পরিচালকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

প্রতিবারের মতো এবারও উৎসব উপলক্ষে ‘আলমগীর কবির স্মারক বক্তৃতামালা’ আয়োজন করা হয়েছে। এবারের বক্তা অরুনা বাসুদেব। অরুনা বাসুদেব ‘নেটওয়ার্ক ফর প্রমোশন অব এশিয়ান সিনেমা’-এর প্রতিষ্ঠাতা। সংগঠনটি বিশ্বের প্রায় ৪৪টি চলচ্চিত্র উৎসবে ‘নেটপ্যাক’ পুরস্কার নামে এশিয়ান সিনেমার জন্য বিশেষ জুরি পুরস্কার দিয়ে থাকে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশেও এ বছর এই জুরি পুরস্কার প্রবর্তিত হচ্ছে।

উৎসবের মূল কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিকে। পাশাপাশি উৎসবের সিনেমা প্রদর্শিত হবে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস, পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় অবস্থিত জহির রায়হান মিলনায়তন, ছায়ানট মিলনায়তন এবং গুলশানের রাশিয়ান দূতাবাস মিলনায়তনে।

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম আর্ন্তজাতিক শর্ট ফিল্ম উৎসব আয়োজিত হয় বাংলাদেশেই। ১৯৮৮ সালের আয়োজনটিই বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম আয়োজিত প্রথম উৎসব। প্রতি দুবছর পরপর এ উৎসব আয়োজন করা হয়।

বিগত সাতটি উৎসবে বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছেন পোলিশ পরিচালক ক্রিস্তোফ জানুসি ও ভারতীয় পরিচালক মৃণাল সেন, বুদ্ধদেব দাসগুপ্ত, গৌতম ঘোষ ও অপর্ণা সেন।

গত উৎসবে ৩০টি দেশের ২১৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।