৬৪টি জেলার নাটক নিয়ে উৎসব

বাংলা সাহিত্যের কবিতা, উপন্যাস ও গল্প অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে অনেক মঞ্চনাটক। প্রথমবারের মতো দেশের ৬৪টি জেলা থেকে সাহিত্য নির্ভর মৌলিক নাটক নিয়ে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ২৩শে অগাস্ট থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে সাহিত্য নির্ভর নাট্যোৎসব।

জয়ন্ত সাহাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 August 2014, 09:59 AM
Updated : 22 August 2014, 10:00 AM

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, আইটিআই বিশ্ব সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্রের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইফসুফ।

উৎসবে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার শিল্পকলা একাডেমি থেকে ৬৪টি দল।

বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমিতে উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী জানান, দেশের বিভিন্ন শিল্পকলা একাডেমিতে নাট্যচর্চা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। তাদের চাঙ্গা করতেই উৎসবে তাদের সম্পৃক্ত করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

লাকী বলেন, “সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি নতুন মৌলিক নাটকের বড় অভাব।  পাণ্ডুলিপি নেই নাটকের। নাট্যপ্রবাহও কেমন যেন স্থবির হয়ে পড়েছে। নাট্যকর্মীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। পুরো বিষয়টি অনুধাবন করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার আমরা সাহিত্য নির্ভর নাটকের একটি উৎসব করব।”

উৎসবের পর দেশের ৬৪টি জেলায় ৬৪টি নাটক নির্মাণ উপলক্ষে ‘সাহিত্য নির্ভর নাট্য প্রযোজনা’ শীর্ষক নতুন নাটক নির্মাণ ও মঞ্চায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সংশ্লিষ্ট জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি রেপার্টরি নাট্যদল গঠন করবেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নির্দেশনা অনুযায়ী গঠিত রেপার্টরি নাট্যদলের প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

এ কার্যক্রমটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে নাট্যকলা বিষয়ক বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমির অনুকূলে বার্ষিক থোক অনুদান থেকে সংযুক্ত ব্যয় বিভাজন অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানান শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক সারা আরা মাহমুদ।

সারা জানান, উল্লেখিত প্রযোজনার জন্য বাংলা গল্প, কবিতা ও উপন্যাস থেকে নাটকের পাণ্ডুলিপি তৈরি করে এ প্রযোজনার জন্য জমা দেওয়া যাবে।

এছাড়া স্থানীয় লোককাহিনি ও ঐতিহ্যনির্ভর কাব্য, গল্প এবং উপন্যাসও বিবেচনা করা হবে বলে তিনি জানান। নাটকের ভাষা আঞ্চলিক বা প্রমিত উভয় প্রকারের হতে পারে।

রেপার্টরির প্রযোজনার এ নাটকগুলো নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে একটি জাতীয় উৎসবেরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান লিয়াকত আলী লাকী ।তিনি জানান, ঢাকার বিভিন্ন উৎসবের আমন্ত্রিত হতে পারে নাটকগুলো।