আবার সেলুলয়েডে ‘মহুয়া সুন্দরী’

ময়মনসিংহ গীতিকার মহুয়া সুন্দরীকে আবারও দেখা যাবে রূপালী পর্দায়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি অনুদান পাওয়া এ সিনেমায় মহুয়া সুন্দরীর চরিত্রে অভিনয় করবেন ঢাকাই সিনেমার উঠতি নায়িকা পরী মনি।

জয়ন্ত সাহা বিডিনউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2014, 10:23 AM
Updated : 19 August 2014, 11:10 AM

রওশন আরা নিপা পরিচালিত প্রথম সিনেমায় নায়ক হিসেবে থাকছেন সুমিত।

নিপা গ্লিটজকে জানান, ‘মহুয়া সুন্দরী’ একটি ‘নিখুঁত’ প্রেমের গল্প।  এ সময়ের প্রেক্ষাপটে ফ্ল্যাশব্যাকে হাজির করা হবে ‘মহুয়া সুন্দরী’কে। যাত্রাপালার নায়িকা ‘ছবি’র মাধ্যমে দর্শককে তিনি নিয়ে যাবেন ‘মহুয়া’র কাছে। ‘ছবি’ চরিত্রটিতেও থাকছেন পরী মনিকে।

সিনেমায় দেখা যাবে, যাত্রাদলের নায়িকা ছবি, ‘মহুয়া’ চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নিজেকে ‘মহুয়া’ ভাবতে শুরু করে। এদিকে যাত্রা দেখতে আসা জীবনও নিজেকে মহুয়ার প্রেমিক জমিদারবাবু ভাবতে শুরু করে। 

নিপা বললেন, ‘মহুয়া সুন্দরী’ প্রেম ও নারীর সংঘর্ষের গল্প।

“মানব-মানবীর পরস্পরকে বেঁধে রাখার মূলসূত্র হল প্রেম। প্রেমই পারে সব সংকটের অবসান ঘটাতে, সমাজের সব বৈষম্য দূর করতে। এ সিনেমাতে আমি প্রেমকেই প্রাধাণ্য দিয়েছি। ভালোবাসার মানুষকে জিতে নিতে এক নারীর সংগ্রামের কথা বলতে চেয়েছি।”

নিপা জানালেন, সিনেমার শুটিং শুরু করবেন সেপ্টেম্বরে। ঢাকার নবাবগঞ্জ এবং গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শুটিং হবে। সিনেমাতে গান রয়েছে আটটি। সংগীতায়োজন করছেন অমিত ও ইমন সাহা।

‘মহুয়া সুন্দরী’ চরিত্রে পরী মনিকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে নিপা বলেন, “গ্ল্যামারাস একটি মেয়ে খুঁজছিলাম ‘মহুয়া’ চরিত্রের জন্য। পরীর মধ্যে সে গ্ল্যামারটি খুঁজে পেয়েছি। ‘মহুয়া’র আদলটি পরীর সঙ্গে মেলাতে চেয়েছি আমি।”

নিপা জানান, ২০০৭ সাল থেকে তিনি সিনেমাটির চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছেন। ২০০৬ সালে এনটিভিতে কাজ করার সময় নেত্রকোণায় ‘মহুয়া সুন্দরী’ যাত্রাপালা দেখে সিদ্ধান্ত নেন যে এ যাত্রাপালা নিয়ে একটি সিনেমা বানাবেন। ‘মহুয়া সুন্দরী’কে তিনি রূপালী পর্দায় হাজির করবেন।

তবে মহুয়া সুন্দরী আগেও আবির্ভূত হয়েছেন রূপালী পর্দায়। ১৯৬৬ সালে আলি মনসুর নির্মাণ করেছিলেন ‘মহুয়া’। পরে ১৯৮৬ সালে শামসুদ্দিন টগর নির্মাণ করেন  ‘মহুয়া সুন্দরী’।

১৯৯৭ সালে ‘গোধূলির লগন’ নাটকের মাধ্যমে পরিচালনায় আসেন নিপা। এরপর ‘আপন আমার আপন’, ‘বিজয়িনী’, ‘অবাক জলপান’সহ বেশকটি নাটক নির্মাণ করেন তিনি। ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ এবং ‘কুয়াশার কণা’ নামে দুটি ধারাবাহিকও নির্মাণ করেছেন তিনি।  তবে নিপা বেশি মনোযোগী ছিলেন প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের প্রতি। দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর শিশুদের নিয়ে ‘চিলড্রেন ইন দ্য হিডেন ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের মাধ্যমে সে যাত্রা শুরু। সম্প্রতি তিনি ‘জননী’ নামে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।

ছবি- তানজিল আহমেদ জনি।