রিয়াজের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনা বলেন, “রিয়াজের সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। তার সঙ্গে এর আগেও বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয়ের অফার পেয়েছিলাম। চলচ্চিত্রেও অভিনয়ের ব্যাপারেও প্রস্তাব ছিল আমাদের। কিন্তু সব মিলিয়ে তখন একসঙ্গে কাজ করা হয়ে ওঠেনি।”
‘সুগার ফ্রি চকলেট কেক’ নাটকে রিয়াজ অভিনয় করছেন ‘রহমান’ চরিত্রে। রহমানের স্ত্রীর চরিত্রটি একটু ‘রহস্যময়’ বলেই জানালেন পরিচালক শহীদ-উন-নবী।
তিনার কথাতেও একই সুর।
“রহমানকে আলাদা চরিত্র মনে হয়নি কখনও। রিয়াজকে আমি রিয়াজ ভেবেই অভিনয় করেছি। আমার চরিত্রটি নাটকের মোড় ঘুরিয়ে দেবে।”
স্ত্রীর অভিনয় প্রসঙ্গে রিয়াজ বললেন, “তিনা প্রথমে অভিনয় করতে চায়নি। অনেক অনুরোধের পর রাজি হয়েছে সে। এ নাটকে তিনা তার চরিত্রটি ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।”
বহুবার নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও অভিনয় না শিখে নিয়মিত হতে চাননি বলে জানালেন তিনা, “নাচ যেহেতু আমি হাতেকলমে শিখেছি, অভিনয়টাও সেভাবে শিখতে চেয়েছি। আমার মতে, জেনে -বুঝে তবেই অভিনয়ে আসা প্রয়োজন। অভিনয়ের ব্যাপারে রিয়াজ আমাকে খুব সাহায্য করেছে। আমার অভিনয়ের গুরুও রিয়াজ।”
নাচেও আবার ফিরতে চান এই শিল্পী, “আমি কিছুদিনের জন্য নাচ বন্ধ রেখেছি। সমসামায়িক নাচের বিভিন্ন জিনিসগুলো আমাকে অবশ্যই জানতে হবে। বর্তমানে নাচের বিভিন্ন ফর্ম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্টাইলও আসছে।"
"এখনকার প্রেক্ষাপটের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর জন্য একটা প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। তাই একটু গুছিয়ে নিচ্ছি। নাচটা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ধরে রাখতে চাই।”
চিত্রনায়িকা শাবানা প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘স্বামী কেন আসামী’-তে শাবানার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনা। তখন তার বয়স পাঁচ। ২০০৫ সালে ‘নীল আঁচল’ নামের একটি নাটকে অভিনয়। এরপর ব্যস্ত ছিলেন নাচ নিয়েই।