সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের শিশুতোষ শাখায় অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমাতে দেখা যাবে মঞ্চনাটকের বেশ কিছু চেনা মুখকে। মুখ্য চরিত্র ‘অমল’ এবং ‘সুধা’ চরিত্রে রূপদান করেছেন অপরূপা।
‘ডাকঘর’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে লুসি গ্লিটজকে বলেন, “রবীন্দ্রনাথের ‘ডাকঘর’ এর সংলাপগুলো পরিবর্তন না করে মূলভাব ঠিক রেখেছি। পুরো গল্প না বললেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গল্পের মাধ্যমে প্রকৃতিপ্রেমের যে বার্তা দিয়েছিলেন তাই ফুটিয়ে তুলছি সিনেমাতে।”
শিশুতোষ শাখায় নির্মিত হলেও সিনেমাটি সববয়সী মানুষ উপভোগ করতে পারবেন বলে মনে করেন লুসি।
“শহুরে যান্ত্রিকতায় আমরা প্রকৃতিকে প্রায় ভুলতেই বসেছি। প্রকৃতির আহ্বান আমরা প্রতিনিয়ত উপেক্ষা করছি। প্রকৃতির কাছে যাওয়ার ফুরসত ব্যস্ত নাগরিকের নেই। কিন্তু সবকিছুর পর একদিন সে ঠিকই ছুটে যায় প্রকৃতির সান্নিধ্যে। এক চিলতে আকাশ দেখার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা চারদেয়ালে বন্দি নগরবাসীর জন্য চলচ্চিত্রটি প্রকৃতিপ্রেমের একটি বার্তা।”
লুসি জানান, চলচ্চিত্রে ‘মাধব দত্ত’ চরিত্রে বাকার বকুল, ‘পিসিমা’ চরিত্রে সংগীতা চৌধুরী, ‘ঠাকুরদা’ চরিত্রে তৌফিকুল ইসলাম ইমন, ‘কবিরাজ’ চরিত্রে ঝুনা চৌধুরী, ‘রাজ কবিরাজ’ চরিত্রে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি গ্রাম, খাগড়াছড়ি ও টেকনাফের বিভিন্ন লোকেশনে দৃশ্যায়ন হয়েছে এ চলচ্চিত্রের। চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনায় রয়েছে ব্যান্ডদল মেঘদল।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সিনেমা ‘উত্তরের সুর’ – এ ‘আম্বিয়া’ চরিত্রের জন্য সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার -২০১২ ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। সেই সিনেমার পর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে আর দেখা যায়নি তাকে।নাট্যকেন্দ্রের সদস্য লুসি মঞ্চনাটকে নিয়মিত হলেও ছোট পর্দার নাটকে অনেকদিন ধরেই অনুপস্থিত তিনি।
লুসি জানালেন, ব্যক্তি জীবনের টানাপড়েন, নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ‘১০৭ প্রীতিলতা’ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় নিজের অভিনয় নিয়ে ভাবার সময় পাননি তিনি। ‘ডাকঘর’ চলচ্চিত্রটির কাজ শেষ করে, একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কাজ শুরু করবেন বলেও জানান।
লুসি টেলিভিশনের জন্যও বেশ কয়েকটি নাটক পরিচালনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘রুহুল আমিনের রকেট মেইল’, ‘মুক্তির যুদ্ধ’, ‘অপলক তোমার দিকে’, ‘তোমাকে ভালোবাসি’ ইত্যাদি।