বিশ্বজুড়ে রমরমা ব্যবসা করছে সালমান খানের সিনেমা ‘কিক’। ভক্তরা হয়ত ভুলেই গেছেন, বেশ কয়েকটি হলিউডি সিনেমার সংলাপ এবং দৃশ্যের অনুকরণ করা হয়েছে এই অ্যাকশন থ্রিলারে।
এ বছরের আরেক প্রতিক্ষীত অ্যাকশন সিনেমা ‘ব্যাং ব্যাং’ অবশ্য ‘নাইট অ্যান্ড ডে’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক বলিউডি সংস্করণ। হৃতিক রোশান এবং ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত সিনেমাটি ট্রেইলারেই দুর্দান্ত অ্যাকশনের ইঙ্গিত দিয়ে এখন আলোচনায়।
বক্স অফিস বিশ্লেষক তারান আদর্শ বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো ব্যবসা করার অন্যতম প্রধান নিয়ম হল নিজের কাজে স্বচ্ছতা। এখন সবাই সব ভাষার সিনেমা দেখে। কাজেই অনুপ্রাণিত হবার ছুতা দিয়ে পার পেয়ে যাওয়া এখন আর সম্ভব নয়। নতুন প্রজন্মের নির্মাতারা এখন তাই স্বচ্ছ পথ বেছে নিচ্ছেন, যেন কাজে কোন বাধা না আসে।”
অনুপ্রেরণা তখনই ‘নকল’ এর তকমা পায়, যখন যে সিনেমাটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তার নাম বেমালুম ভুলে যান বলিউডি নির্মাতারা। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় আইনি ঝামেলাতেও পড়তে হয়। ২০০৭ সালে ডেভিড ধাওয়ানের সিনেমা ‘পার্টনার’ মুক্তির পর এর প্রযোজকদের বিরুদ্ধে গল্প চুরির মামলা করে হলিউডের সনি পিকচারস। তাদের দাবী ছিল, উইল স্মিথ অভিনীত সিনেমা ‘হিচ’-এর গল্প হুবহু নকল করেছেন ধাওয়ান।
কারান জোহারই সেই প্রযোজক যিনি হিন্দি সিনেপাড়ায় আনুষ্ঠানিক রিমেইকের প্রচলন করেছেন। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া তার সিনেমা ‘উই আর ফ্যামিলি’ ছিল হলিউডি সিনেমা ‘স্টেপমম’-এর রিমেইক। প্রথমে সিনেমাটির স্বত্ব কিনে নেওয়ার চেষ্টা করলেও পড়ে সনির সঙ্গে যৌথ প্রযোজনার চুক্তি করতে হয় কারানকে।
‘শাহিদ’ খ্যাত নির্মাতা হানসাল মেহতা ইদানিং আলোচনায় আছেন নতুন সিনেমা ‘সিটি লাইটস’-এর জন্য। যা অনুপ্রাণিত হয়েছে ব্রিটিশ-ফিলিপিনো ড্রামা ‘মেট্রো ম্যানিলা’ থেকে। আর নিজের অনুপ্রেরণাকে স্বীকার করতে ভোলেননি এই পরিচালক।
তবে মোহিত সুরি কিন্তু এটা বলতে একদমই ভুলে গেছেন যে তার সাম্প্রতিক হিট সিনেমা ‘এক ভিলেইন’ কোরিয়ান সিনেমা ‘আই স দ্য ডেভিল’ থেকে অনুপ্রাণিত।
আরেক কোরিয়ান সিনেমা ‘দ্য চেজার’-এর গল্প নিয়ে মোহিত নির্মাণ করেন ‘মার্ডার টু’।
কোরিয়ান সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন আরও এক পরিচালক সঞ্জয় গুপ্তা। ২০০৫ সালে তিনি নির্মাণ করেন ‘জিন্দা’। সঞ্জয় দত্ত ও জন অ্যাব্রাহাম অভিনীত সিনেমাটি ছিল কোরিয়ান কাল্ট মুভি ‘ওল্ডবয়’-এর হুবহু সংস্করণ।