নব্বইয়ের দশকে ‘বেলা বোস’, ‘রঞ্জনা’, ‘আমি বৃষ্টি দেখেছি’ - গানগুলোর সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন অঞ্জন দত্ত। যদিও সিনেমায় অভিনয় করছেন ১৯৮১ সাল থেকে। ১৯৯৮ সাল থেকে সিনেমা নির্মাণও শুরু করেন।
বললেন, গান গাওয়ায় সিনেমার দর্শক বেড়েছে তার।
“একজন সফল অভিনেতার পরিচালিত সিনেমা কিছু লোক দেখতে নিশ্চয় যাবে। আমার গান যারা শোনে তারা সিনেমা দেখতে আসে। সেই সঙ্গে অন্য কারো গান পছন্দ করে, আমারটা করে না, তারাও দেখতে আসে।”
“এটাও ঠিক আমার সিনেমাও আমার গানকে সাহায্য করেছে। শুধু দর্শক পাওয়ার জন্য না। নিজের কাজও নানাভাবে অনেক বেশি পরিণত করেছে।”
আরও বললেন, তার প্রত্যেকটা গানই একেকটা চিত্রনাট্যের মতো।
“ধরেন আমি গান লিখছি, প্রথমে মনে আসে লোকটার বয়স কতো। লোকটা কিভাবে বড়ো হয়েছে। লোকটার বড়ি দেখতে কেমন। কতো টাকা মাইনে পায় সে। গানে নেই কিন্তু একটা চিত্রনাট্য লিখতে যেমন দরকার হয় এসব। তেমনি এসব বিষয় আছে বলেই গানগুলো জ্যান্ত হয়ে গেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এসব খানিকটা সহায়তা করে। আমার মনে হয় রংয়ের জ্ঞান না থাকলে ভালো সংগীতশিল্পী হওয়া যায় না।”
“আমি কী সব সময় নীলকে (অঞ্জন দত্তের ছেলে) বলছি যে, নীল আমাকে একটা খুব টেনশন করে দাওতো এখানে? এটা হয় না মিউজিক মানে কী, টেনশন মানে কী। এরকম হয় না। আমাকে কিছু রংয়ের কথা বলতে হয়। পুরো জিনিসটা একটা লাল অথবা কালো, বা হালকা নীল আলো- এরকমভাবে বললে ও কিছু একটা দেবে আমাকে।"
ঈদের পরদিন দেশ টিভির সরাসরি গানের অনুষ্ঠান ‘কলের গান’-এ সংগীত পরিবেশন করে পরদিনই ঢাকা ছাড়বেন ‘দত্তত্রয়ী’ হিসেবে বেশি পরিচিত অঞ্জন, নীল ও অমিত।