কারণ হিসেবে গ্লিটজকে বললেন, “অডিও সিডির দোকানে যখন মোবাইল বিক্রি হয়, তখন অ্যালবাম মোবাইলেই দিলাম। মোবাইল থেকেই মানুষ গানগুলো শুনতে পারবে প্রথমে।”
আরও বললেন, “সারাদেশ জুড়েই অডিও স্টোরগুলো কমে গেছে। সিডি র্যাকে মোবাইল উঠে এসেছে।” তবে সেপ্টেম্বর মাসের পর অ্যালবামটির সিডিও বের হচ্ছে বলে আশ্বাস দিলেন।
রবি পরিবেশিত প্রীতমের দশম অ্যালবাম ‘ভোট ফর ঠোঁট’। রবীন্দ্রসংগীত ‘আমারও পরান যাহা চাই’ সহ অ্যালবামে গান রয়েছে দশটি। নয়টি গানের কথা, সুর ও কণ্ঠ প্রীতম আহমেদের।
অ্যালবামের শিরোনামের গান ‘ভোট ফর ঠোঁট’ নিয়ে বললেন,“আমাদের সবারই যে কমিটমেন্ট থাকে, তা আসে ঠোঁটের মাধ্যমে। বিষয়টি অঞ্চলভেদে নানাভাবে উচ্চারিত হয়। যে কোন ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রেই বিষয়টি গুরুত্ব দাবী করে।”
সময় ও শ্রোতার প্রতি লক্ষ্য রেখে প্রত্যেক অ্যালবামের জন্য নিজেকে নতুন করে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন বলে জানালেন প্রীতম।আরও বললেন, ‘ভোট ফর ঠোঁট’ অ্যালবামটি সংগীত ও রাজনীতি সচেতন, সাম্প্রতিক সংগীত ধারা নিয়ে খোঁজখবর রাখে, এমন শ্রোতাদের জন্য। বললেন বাংলা গানকে জনপ্রিয় করতেই বাণিজ্যিক ধাঁচের গান করে থাকেন।
“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ বিষয় হচ্ছে— এই ঈদের বাজারে সবচেয়ে বেশি চলছে, কলকাতার বাংলা ও বোম্বের হিন্দি গান। তাদের গানের ভিস্যুয়ালাইজেশন, প্রেজেন্টেশন যেমন থাকে, আমাদের বাংলা গানে সেসব খুব কম পাওয়া যায়।”
‘ভোট ফর ঠোঁট’ গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন প্রীতম। ভিডিও সম্পর্কে বললেন, “পুরো ভিডিওতে বেশকিছু অক্ষর দেখা যাবে। অনেক টেক্সট ও গ্রাফিক্স ভিডিওটার মধ্যে আছে। যেটা দেখার পর আপনি ধারণা পেতে পারেন যে - আমাদের প্রকাশভঙ্গী ও কমিটমেন্ট দুইটা আলাদা জিনিস।”
“আমরা আসলে যেটা বলি সেটা করি না। তাই যে যেভাবে নিজেকে প্রদশর্ন করুক না কেনো আমরা আসলে কমিটমেন্ট খুজছি।”
ভিডিওটির মডেল হয়েছেন নায়লা নাঈম।
প্রীতমের অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বালিকা’, ‘ভালোবাসা মিছিলে এসো’, ‘ভালো থেকো’, ‘চলো পালাই’, ‘তুই কী আমার বন্ধু হবি’।
তার সবশেষ অ্যালবাম ‘শাহবাগ কলিং’।