‘শান্তির নামে মানুষ মারছে ইসরায়েল’

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সংগীত দুনিয়ার অনেক তারকাই। সেই দলে এবার যুক্ত হলেন মার্কিন মেটাল রক ব্যান্ড সিস্টেম অফ আ ডাউনের ভোকাল সার্জ টানকিয়ান।

শরীফুল হক আনন্দবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2014, 02:25 PM
Updated : 22 July 2014, 04:37 PM

বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে সবসময়ই নিজের মতামত বেশ সাহসিকতার সঙ্গে প্রকাশ করে এসেছেন লেবানিজ বংশদ্ভুত মার্কিন সংগীতশিল্পী টানকিয়ান। গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও শক্ত অবস্থান নিয়েছেন এই শিল্পী।

একই ইস্যুতে এরই মধ্যে নিজের ক্ষোভ জানিয়েছেন মার্কিন গ্রাঞ্জ ব্যান্ড পার্ল জ্যামের ভোকাল এডি ভেডার। ইসরায়েলের দিকে আঙ্গুল তুললেও তার বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রসঙ্গটি এসেছে পরোক্ষভাবেই। কিন্তু টানকিয়ান ইসরায়েল এবং পশ্চিমা ব্যাংকগুলোকে সহিংসতার জন্য সরাসরি দায়ী করেছেন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল শান্তি চুক্তির ব্যাপারে জানিয়েছেন জোর দাবী। বিস্তারিত একটি বিবৃতিতে তিনি জানান--

“সময় এসেছে এই দুঃসহ ঘটনাগুলোর সমাপ্তি টানার, যে ঘটনাগুলোর পেছনে রয়েছে ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং পশ্চিমা পুঁজিবাদী ব্যাংকগুলোর হাত। আমার ‘হারিকিরি’ অ্যালবামের ‘অকুপাইড টিয়ারস’ গানটিতে এমন কিছু ‘দুর্ভাগা’ মানুষের ইতিহাস তুলে ধরেছিলাম যারা নাৎসি আগ্রাসনে হলোকাস্টের ভয়াবহতার শিকার। আর সেই মানুষগুলোই এখন বর্তমান যুদ্ধের পেছনের প্রধান খলনায়ক। এক কালের সেই অসহায় মানুষগুলোর হাতেই রয়েছে নিরীহ কিছু মানুষের প্রাণ। জন কেরি এবং মার্কিন কর্তৃপক্ষ দুইপক্ষের মধ্যে মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য চাপ দিচ্ছে। হামাস এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এক সঙ্গে এই দুর্বিষহ পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, নেতানিয়াহু তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়েছেন। সাম্প্রতিক সকল অপহরণ, ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দীদের নতুন করে কারাবাস দেওয়া ইসরায়েলের অবৈধ রাজনৈতিক চাল। ইসরায়েলে হামাসের ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপের ফলস্বরূপ ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনে ‘শান্তি’ প্রতিষ্ঠার জন্য হত্যা করছে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে।

আরও একটি ব্যাপার, সত্যকে ঢেকে রাখার জন্য ‘ইহুদি-বিদ্বেষী’র তকমা লাগিয়ে দেওয়াটা যেন মার্কিন মূলুকে কখনই করা না হয়।

এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত অবশ্যই আমাকে জানাবেন। সকলের শান্তি কামনা করছি।”

বিস্তারিত এই বিবৃতিটি টানকিয়ানের ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা হলে মন্তব্যের জায়গায় তুমুল তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।