অনুদানের সিনেমা ‘সূতপার ঠিকানা’

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন তথ্যচিত্র নির্মাতা প্রসূন রহমান। নিজের কাব্যগল্প ‘সূতপার ঠিকানা’ অবলম্বনে নির্মিত তার প্রথম সিনেমার নামও ‘সূতপার ঠিকানা’। সিনেমাটি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সাধারণ শাখায় সরকারি অনুদান পেয়েছে।

জয়ন্ত সাহাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2014, 10:09 AM
Updated : 21 July 2014, 10:09 AM

প্রসূন রহমান গ্লিটজকে জানান, উপমহাদেশের নারীদের আটপৌরে জীবন ও নিরন্তর ঠিকানা বদলের গল্প বলবে তার সিনেমা।

নারীর জন্মের পর থেকেই বাবা, স্বামী, ভাই কিংবা সন্তানের আশ্রিতা হয়ে থাকতে হয়। নারী কি সত্যিই পরনির্ভরশীল? নারীর কি সত্যিই কোনো ঠিকানা নেই? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে ‘সূতপার ঠিকানা’।

প্রসূন গ্লিটজকে বলেন, “আমাদের জীবনের ছোট ছোট অনুষঙ্গ নিয়ে দারুণ সব গল্প হয়, সিনেমা হয়। কিন্তু আমরা সেসব গল্প নিয়ে সিনেমা বানাতে গেলে বোদ্ধাদের দল বলে ওঠে, ‘ওরা তো টেলিফিল্ম বানাচ্ছে’। এভাবেই চলচ্চিত্রের সংজ্ঞা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। জীবনের গল্প যখন চলমান চিত্র হয়ে ওঠে, তখন তা সিনেমা হয়ে ওঠে। সেসব সিনেমা যে কোনো দৈর্ঘ্যের হতে পারে।”

প্রসূন জানান, গ্রাম এবং শহরের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে সিনেমাটি। গ্রাম পর্বের শুটিং শুরু হবে সেপ্টেম্বরে।

সিনেমাতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন অপর্ণা ঘোষ।

অপর্ণা গ্লিটজকে বলেন, “সূতপা চরিত্রটি ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। নারীর জীবনের খুব চেনা গল্পকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা খুব সোজা নয়। সূতপা চরিত্রটির মাধ্যমে শুধু নারীর গল্প নয়, একই সঙ্গে পরিবার ও সমাজের চালচিত্র্রও ফুটে উঠবে। আমাকে চরিত্রটি নিয়ে ভীষণ পরিশ্রম করতে হবে।”

অপর্ণার এটি চতুর্থ চলচ্চিত্র। এর আগে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার’, গাজী রাকায়েতের ‘মৃত্তিকা মায়া’, জাহিদুর রহিম অঞ্জনের ‘রেইনকোট’ সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘রেইনকোট’ সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

প্রসূন বলেন, “এ সিনেমাটি আমি বাংলাদেশের সব মাকে উৎসর্গ করব। ২০১৫ সালের নারী দিবসে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে আমার।”

প্রসূন জানিয়েছেন, সিনেমাটির ইংরেজি ভাষায়ও নির্মিত হবে। দেশে মুক্তির পর সিনেমাটি বিদেশেও মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে তার।

প্রসূন রহমান এর আগে চারটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। তার প্রথম তথ্যচিত্র ‘রাইস অ্যান্ড প্রেয়ার’। প্রয়াত চলচ্চিত্রব্যক্তিত্ব তারেক মাসুদকে নিয়ে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘ফেরা’।